টেক্সাসের স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার খবর পেয়েই স্কুলে ছুটেছিলেন অ্যাঞ্জেল গারজা। আহতদের শুশ্রুষা করছিলেন। এক কিশোরীর শুশ্রুষার সময় জানতে পারেন, তাঁর মেয়েকেও হত্যা করেছে বন্দুকবাজ।
মঙ্গলবার রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলা চালায় এক বন্দুকবাজ। গুলি চালানোর ঘটনায় ১৮ জন শিশু এবং তিনজন প্রাপ্তবয়স্কের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছে ১০ বছরের এমেরিরও। মেয়েকে হারিয়ে স্কুলের সামনেই এমেরির ছবি হাতে দাঁড়িয়েছিলেন গারজা। বুকের কাছে ছবি রেখে দিয়েছিলেন। মেয়ের ছবিটা এক মুহূর্তের জন্যও বুকের থেকে সরাতে চাইছিলেন না।
আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজের বিভীষিকা, আমেরিকার স্কুলে মৃত ২১! ‘আর কবে…’, বার্তা বাইডেনের
তারইমধ্যে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যকর্মী। (গুলি চালানোর) ঘটনা জানতে পারি। আমি যখন আসি, তখন বাচ্চারা ভিতরে ছিল। ওঁরা (উদ্ধারকারী এবং পুলিশকর্মী) বাচ্চাদের বাইরে নিয়ে আসতে থাকেন। আমি একটা বাচ্চার শুশ্রুষা করছিলাম। ওর মাথা থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। ও জখম হয়েছিল। ও (জখম শিশু) বলল যে ওর বেস্টফ্রেন্ডকে মেরে ফেলেছে। ও (জখম শিশুর বেস্টফ্রেন্ড) শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে না। ও পুলিশদের ডাকার চেষ্টা করছিল। ও নামটা বলে যে এমেরিকে (হত্যা করা হয়েছে)।’
বাইডেনের বার্তা
সেই গুলি চালানোর ঘটনার প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও প্রায় এরকম ঘটনা ঘটে না। কেন? ঈশ্বরের নামে জানতে চাই যে আর কবে আমরা জাতি হিসেবে বন্দুকের লবির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব?’ জাতীয় শোক পালনের ঘোষণাও করেন বাইডেন।