শুক্রবার রাশিয়া এবং চিনের মধ্যেকার প্রথম সড়ক সেতুর উন্মোচন হল। আমুর নদীর উপর দিয়ে গিয়েছে এই সেতুটি। দৈর্ঘ্যে প্রায় এক কিলোমিটার। পূর্ব রাশিয়ার শহর ব্লাগোভেশচেনস্ক থেকে উত্তর চিনের হেইহে সংযুক্ত করেছে এই সেতু।
দুই বছর আগেই সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে মহামারির কারণে উদ্বোধন স্থগিত রাখা হয়।
শুক্রবার ব্লাগোভেশচেনস্কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানী আতসবাজি দিয়ে সাজানো হয় সেতুটি। যাত্রা করে প্রথম মালবাহী যান বাহন।
দুটি ট্রাফিক লেন নিয়ে সেতুটি গঠিত। সেতুটি বানাতে প্রায় ১৯ বিলিয়ন রুবেল (২,৫০০ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে।
একদা কোল্ড ওয়ারের সময়কার তিক্ততা ভুলেছে মস্কো এবং বেইজিং। বিগত কয়েক বছরে দুই দেশ নিজেদের স্বার্থেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। উভয় দেশই মার্কিন আধিপত্যকে বিশ্বের প্রতি ঝুঁকি হিসাবে দেখে। ফলে দুই দেশই পাল্টা আগ্রাসী মনোভাবে বিশ্বাসী।
রাশিয়া ও চিনের মধ্যে ৪,২৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। ১৯৮০-র দশকের শেষের দিক থেকে দুই বৃহত্ দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের বিকাশ হয়েছে। কিন্তু দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলের পরিবহন পরিকাঠামোর সেভাবে উন্নতি হয়নি।