পরীক্ষায় নকল করা, ঘুরপথে অবৈধভাবে পরীক্ষায় পাস করা সহ পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে সোমবার বিল আনা হল লোকসভায়। বিলের নাম The Public Examinations( Prevention of Unfair Means) Bill, 2024 লোকসভায় আনা হয়েছে। পার্সোনেল অ্য়ান্ড ট্রেনিংয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই বিল লোকসভায় এনেছেন।
এই বিলে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষায় পাস করা রুখতে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। একাধিক রাজ্যে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের সমস্যা সামনে আসার পরেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যার জেরে ভুগতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীকে।
এই বিলে মোটামুটি যেটা বলা হচ্ছে যে, উচ্চ পর্যায়ের টেকনিকাল কমিটি তৈরি করা হবে। তারা এই ধরনের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত ব্যাপারগুলি দেখবেন।
এদিকে বর্তমানে এই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও বিল জাতীয় স্তরে নেই। বিশেষ কোনও ব্যক্তি, কোনও সংগঠন, কোনও এজেন্সি বা সংগঠন এই প্রশ্নপত্রে কারচুপি করলে সেটা রুখে দেওয়া অত্যন্ত দরকার। না হলে বিরাট সমস্যা হতে পারে। একের পর এক পরীক্ষা বাতিল করা হলে আখেরে সমস্যায় পড়বেন দেশের বেকার যুবক যুবতীরা। তাছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হলে ও পরে মামলা হলে প্যানেলও বাতিল হতে পারে। তার জেরে প্রকৃত কর্মপ্রার্থী ও যোগ্যদের বছরের পর বছর ধরে ভুগতে হতে পারে।
এই বিলের আওতায় থাকবে নিট, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার মতো বড় পরীক্ষাও। একদিকে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্য়মে কোনও ইনস্টিটিউটে ভর্তির জন্য লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেন। যেমন ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা হিসাবে থাকে নিট। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যে নানা ধরনের নিয়োগ পরীক্ষাও থাকে। জাতীয় স্তরেও নানা ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা থাকে। কিন্তু সেই পরীক্ষায় যদি অবৈধ উপায় অবলম্বন করা হয় তবে বিরাট সমস্যা হতে পারে। সেকারণেই এবার এই অবৈধ উপায় রুখতে বিল আনা হচ্ছে লোকসভায়।
এদিকে এর আগে একাধিক রাজ্যে নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি দিতে পারেনি সরকার। কারণ সেই পরীক্ষা নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। পশ্চিমবঙ্গেও এনিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোাপাধ্য়ায়ও বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন। তবে এবার এই বিল কার্যকরী হলে সুবিধা হবে অনেকের।