পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে ক্লাসের মধ্যেই ছাত্রীর পোশাক খুলে তল্লাশি চালালেন শিক্ষিকা। সেই অপমান সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করল ছাত্রী। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে ছায়ানগর বস্তি এলাকার। চিকিৎসকদের মতে, ১৪ বছর বয়সি ওই ছাত্রীর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
জামিনে মুক্ত স্বামীর খুনে অভিযুক্ত, আত্মহত্যার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীর
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী সাকচির সারদামণি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চন্দ্রা। অভিযোগ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় ওই শিক্ষিকা নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তার সন্দেহ হয়েছিল পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছে ওই ছাত্রীটি। এর পরেই শিক্ষিকা সকলের সামনে পরীক্ষা হলে ওই ছাত্রীর পোশাক খুলে নকল খোঁজার চেষ্টা করেন। যদিও ছাত্রীটি বারবার দাবি করছিল যে সে নকল করেনি। কিন্তু ছাত্রীর সেই দাবি মানতে চাইনি শিক্ষিকা। এরপর বাড়ি ফিরে অপমানে নিজের আগুন লাগিয়ে দেয় ওই ছাত্রী। ঘটনার খবর পেয়ে সীতারামদেরা থানার পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে ওই ছাত্রীর জবানবন্দি নেয়। ছাত্রীটি সে জানায়, ক্লাসে চন্দ্রা ম্যাডামের পোশাক খুলে মারধর করায় সে নিজেকে আগুন দিয়েছে।
ছাত্রীর এক দিদি জানান, নির্যাতিতা বোনের বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে সময় সে চুপচাপ ছিল। জিজ্ঞেস করলেও সে কিছু জানায়নি। কিছুক্ষণ পর সে তার দুই দিদিকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপরই ঘরে রাখা কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকার শুনে দুই দিদি দৌড়ে আসে।ততক্ষণে মেয়েটি মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে যায়। কোনওভাবে তারা কম্বল দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে এমজিএম হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে টিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ছাত্রের বয়ান ভিডিয়ো রেকর্ড করেছে, তাতে ছাত্রীটি বলেছে, ‘চন্দ্র ম্যাম পুরো ক্লাসে সবার সামনে আমার পোশাক খুলে নকল খোঁজার চেষ্টা করেছেন। যদিও আমি কোনও নকল করিনি। এ কথা বলার পরও চন্দ্রা ম্যাডাম আমাকে ক্লাসে মারধর করেন। ম্যাডামের আচরণে আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি। সেজন্য আমি মরতে চাই।’