দেশের প্রথম সেমি-হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত ছিল ১৬ টি কোচের এবং এর রঙ ছিল নীল এবং সাদা। অল্প সময়ের মধ্যেই সারা ভারতে এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। যার মধ্যে কাসারগড়-তিরুবনন্তপুরমের মধ্যে চলছে গেরুয়া সাদা রঙের বন্দে ভারত। এর রং নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে সেই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দাবি করেছেন, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। তাহলে বন্দে ভারতের রং গেরুয়া করা হয়েছে? সেই ব্যাখ্যাও দিলেন রেলমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘লাল’ কেরলে চলবে দেশের প্রথম গেরুয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! বাংলার ২টির রং কী হবে?
কী বলেছেন রেলমন্ত্রী?
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমলা রঙের বন্দে ভারত ট্রেন চালু করার পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই, এর পিছনে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের চোখের জন্য দুটি রঙ সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান বলে মনে করা হয়। একটি হল হলুদ এবং অন্যটি কমলা। ইউরোপে, প্রায় ৮০ শতাংশ ট্রেনে কমলা বা হলুদ রঙের অথবা এই দুটি রঙের সংমিশ্রণ হয়ে থাকে। আরও অনেক রং আছে, যেমন রুপোলি। এটি হলুদ এবং কমলার মতো উজ্জ্বল। কিন্তু আমরা যদি মানুষের চোখের দৃশ্যমানতার দিক থেকে দেখি তাহলে এই দুটি রংই সেরা বলে বিবেচিত হয়। তাই গেরুয়া রং ব্যবহার ১০০ শতাংশ বৈজ্ঞানিক।’ আরও ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এসব কারণেই উড়োজাহাজ ও জাহাজের ব্ল্যাক বক্স গেরুয়া রঙের হয়। এমনকি উদ্ধারকারী নৌকা এবং লাইফ জ্যাকেট যা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ব্যবহার করে সেটিও কমলা রঙের হয়।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলওয়ে তার প্রথম কমলা-ধূসর রঙের বন্দে ভারত ট্রেনটি ২৪ সেপ্টেম্বর কেরলের কাসারগড় এবং তিরুবনন্তপুরমের মধ্যে চালু করেছিল। ২৪ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে ৯ টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেছিলেন তার মধ্যে এটি ছিল একটি। কাসারগড় এবং তিরুবনন্তপুরমের মধ্যে এই বন্দে ভারত ছিল ৩১ তম বন্দে ভারত। তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের পেরাম্বুরে রেল কোচের প্রস্তুতকারক ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির তরফে প্রথমে ট্রায়ালে গেরুয়া রঙের কোচগুলি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়। তারপর সেটি চালু হয়।