কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউতেই বেসামাল দেশের একাধিক রাজ্য। আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই সংক্রমণের ঢেউতে কার্যত হাবুডুবু খাচ্ছেন দেশবাসী। তার মধ্য়েই এবার কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন,' জুলাই অথবা আগস্ট মাসে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে মহারাষ্ট্রে। মহামারী বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়েই এই সতর্কবার্তা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর।' কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মোকিবিলার জন্য রাজ্য প্রশাসনকেও পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিতে বলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর সাফ বার্তা, বর্তমান পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি তিনি আর দেখতে চান না।
মূলত কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে কী ধরণের পরিকাঠামো রয়েছে তা একবার মিলিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ডিভিশনার কমিশনার ও জেলাশাসকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি মিটিং ডেকেছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। এব্যাপারে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষত অক্সিজেনের যোগানের ক্ষেত্রে আমাদের আত্মনির্ভর হতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে নতুন করে কোনও অজুহাত তিনি শুনতে চান না। ’
রাজ্য় প্রশাসন সূত্রে খবর, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের টাস্কফোর্স যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও রয়েছেন তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ পেয়েই এই তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। অন্যান্য দেশে কোভিডের ঢেউয়ের গতিপ্রকৃতি দেখেই তাঁরা এই ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছেন। মহারাষ্ট্র রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ' বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে মে মাসের শেষের দিকে কোভিডের বাড়বাড়ন্তে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে। কিন্তু তাতে স্বস্তি পাওয়ার কিছু নেই। জুলাইয়ে শেষে অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ফের বাড়তে পারে সংক্রমণের সংখ্য়া। বলা ভালো এটাই হতে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ।' তবে লকডাউনের জেরে সংক্রমণ কিছুটা কমতে পারে বলেও আশাবাদী মহারাষ্ট্র প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। আর এখানেই প্রশ্ন, আরব সাগরের পাড়ে যদি আছড়ে পড়তে পারে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ, তবে এই বাংলায় গঙ্গাপাড়ের জন্য কোন অশনি সংকেত অপেক্ষা করে আছে?