৬জনকে খেয়েছে বাঘ। মানুষখেকো হিসাবে ঘোষণা করা হল সেই বাঘকে। শুধু তাই নয় সেটিকে নিকেশ করার ব্যাপারেও নির্দেশ জারি করেছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্য বনপাল। নৈনিতালের ফতেপুর রেঞ্জে বাঘটি গত তিনমাসে অন্তত ৬জনকে মেরেছে। এদিকে বনদফতর সূত্রে খবর, বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে কাবু করার জন্য বার বার চেষ্টা করেছে দফতর। কিন্তু সেটা করা যায়নি। ৮টি খাঁচা, ৭২টি ক্যামেরা দিয়েও ফাঁদ পাতা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই বাঘের নাগাল পাওয়া যায়নি। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নিল বনদফতর।
কুমায়ুনের রামগনর ফরেস্ট ডিভিশনের ফতেপুর ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জার কে আর আর্য্য জানিয়েছেন, আমরা বাঘটিকে নিকেশ করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। বাঘটি অন্তত ৬জনকে মেরে ফেলেছে গত তিনমাসে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ৬জনের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছেন। কেউ ছাগল চড়াতে গিয়ে, কেউ আবার কাঠ কুড়োতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়েছিলেন। বনদফতরের আধিকারিকের দাবি, প্রথমবার যখন এক মহিলার মৃত্যু হয় তখন বৃষ্টির জন্য জন্তুটির পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি। পরের বার পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। কিন্তু সেটি চিতাবাঘ নাকি সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
এদিকে বাঘ মারার জন্য দুটি হাতি নিয়ে আসা হয়েছে। তারাই বাঘটির খোঁজ চালাবে। তবে পাহাড়ি এলাকায় হাতি দিয়ে বাঘ খোঁজা সমস্যাজনক। সেকারণে ক্যামেরার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট বাঘটিকে টার্গেট করাটাই সমস্যার। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ এজে আনসারি বলেন, বাঘেরা ভয় পেলে বা জখম হলে অথবা বয়স্ক হলে সাধারণত তারা মানুষ শিকার করে।