উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে অঙ্গভঙ্গী করার জেরে শিরোনামে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ তাঁর এই আচারণের জন্য মোটেই অনুতপ্ত নন বরং তিনি একে শিল্পকলা বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীও একাধিকবার এই ধরনের শিল্পকলা দেখিয়েছেন। তবে এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার নানা মন্তব্য করে সাংবাদের শিরোনামে এসেছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নিয়ে মন্তব্য
রাজ্যে তৃণমূল সরকার সদ্য ক্ষমতা আসার পর দলীয় কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তা করতে গিয়ে শালীনতার সীমানা ছাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। তিনি বলেন, 'আপনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সন্ধ্যার পর কে কে নন্দনে আপনার সঙ্গে দেখা করতে যেত এবং কেন করতে যেত তার তদন্ত হওয়া দরকার আগে। আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা নিয়ে প্রশ্ন করেন? আরে বাংলার মানুষ আপনার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করে।' নিন্দার ঝড় ওঠে এই মন্তব্যকে ঘিরে।
পরে অবশ্য তাঁর এই মন্তব্যের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন কল্যাণ। জুলাই মাসে যখন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বুদ্ধবাবু। সে সময় অনুপাত প্রকাশ করে কল্যাণ বলেন, 'সেদিন সেকথা না বললেই পারতাম।'
সয়ান্তন বসুকে চেহারা নিয়ে মন্তব্য
বিরোধী বিজেপিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি মাত্রা হারিয়ে ফেলেন। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'সায়ন্তন বসু দেখতেও যেমন, কাজেও তেমন।' তবে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য বিজেপি সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করে।
প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ
এক জনসভায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজনৈতিক ‘থাপ্পড়’ মারার কথাও বলেন। তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। সেই সময় কল্যাণ বলেন, 'আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছি। ফলে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।'
আকর্ষণ টানতে এই রকম নানা মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবা তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে অঙ্গভঙ্গী করার অভিযোগ।
সাংসদ অবশ্য এই ঘটনার বলেছেন, 'কারও ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না আমার। ধনখড় সাব আমার সিনিয়র। উনি আমার পেশাতেই ছিলেন। উনি আইনজীবী ছিলেন। আমিও আইনজীবী। আমাদের পেশায় আমরা কারও ভাবাবেগে আঘাত করি না। আমি ওঁকে শ্রদ্ধা করি।'