দেশে বিভাজনের রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। আজ সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া অভিযোগ করেন, 'মণিপুরে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে বিজেপি।' মোদীকে তোপ দেগে মহুয়া বলেন, 'ভারতের মানুষ আপনার ওপর আস্থা হারিয়েছেন।'
আজ সংসদে মহুয়া মৈত্র বলেন, 'আমরা সংসদে এসেছি 'তুম অভি চুপ রাহো' প্রজাতন্ত্রে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে। এখানে প্রধানমন্ত্রী একজন গভর্নরকে বলছেন চুপ করতে। এই সংসদে নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে আমাদের নিয়মিত চুপ কর বলা হয়। মণিপুরের এই নীরবতা ভাঙার জন্যই এই আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাদের কথা শুনবেন না, তিনি শেষ দিনে এসে ভাষণ দেবেন।' মণিপুর ইস্যুতে মহুয়া বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি আমার অনুরোধ, মণিপুরের প্রশাসনে পরিবর্তন আনুন। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হল মণিপুরের হিংসা। সরকারের উপর আস্থা হারিয়েছেন দেশবাসী।' হরিয়ানার হিংসা নিয়েও তোপ দেগেছেন মহুয়া। তিনি অভিযোগ করেন, দেশে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। বলেন, 'সবজি হিন্দু আর ছাগল মুসলিম হয়ে গিয়েছে।'
মহুয়া বলেন, 'সংসদে অনাস্থা আলোচনা চলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখানে নেই। গত দু'দিনে আসেনি। উনি তো সবার শেষে আসবেন। মণিপুরে যাননি এখনও। আমি জানি না এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কী আছে... আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংসদে আসতে অস্বীকার করেছেন, নাকি তিনি মণিপুর যেতে অস্বীকার করেছেন। মণিপুরে ইস্যুতে নীরবতা ভাঙা হোক। এটি স্পষ্টতই অনুমোদিত ঘৃণামূলক অপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। আমাদের হয়রানি করা যাবে না। মমতাদি ভয় পায় না। স্ট্যালিন ভীত নন। রাহুল গান্ধী ভয় পান না। আমরা আপনাদের সবাইকে প্রত্যাখ্যান করব এবং আমরা জিতব।'
আজ মণিপুরের অবস্থা তুলে ধরে সংসদে মহুয়া বলেন, 'বাংলা, ছত্তিশগড়, রাজস্থানের থেকে মণিপুরের পরিস্থিতি আলাদা। কারণে সেখানে তিন মাসে সাড়ে ছয় হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কোন রাজ্যে এমনটা হয়েছে? চার হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন। কোন রাজ্যে এমন পরিস্থিতি উপনীত হয়েছে?'