বিচারপতি এস মূরলীধরের সম্মতিতেই বদলির নির্দেশ নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের সমালোচনার জবাবে জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটের মাধ্যমে আইনমন্ত্রী জানান, প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের প্রস্তাব মেনে বিচারপতি মূরলীধরের সম্মতিতেই রুটিন বদলির নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া যথাযথ পালন করা হয়েছে।’
এর পরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে প্রসাদ টুইট করেন, ‘ভারতের মানুষ কংগ্রেস দলকে খারিজ করেছে। সেই কারণেই তারা দেশের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলিকে কলুষিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আইনমন্ত্রীর টুইট বর্ষণের কিছু আগে কংগ্রেস নেতা রাজদীপ সুরেজওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে বিচারপতির বদলি প্রক্রিয়াকে বিজেপির তাৎক্ষণিক প্রতিহিংসা বলে মন্তব্য করে বলেন, ‘উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়া বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা শুনছিলেন বিচারপতি মূরলীধর। এই সিদ্ধান্ত বিজেপির প্রতিহিংসা ও চাপের রাজনীতিকে প্রকাশ করল।’
এ দিন সকালে প্রথম আঘাত অবশ্য হেনেছিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। টুইটারে তিনি মধ্যরাতে বিচারপতি বদলির সিদ্ধান্তকে বিস্ময়করই নয়, সেই সঙ্গে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বলেও চিহ্নিত করেন। তিনি লেখেন, ‘লাখ লাখ ভারতবাসী দৃঢ়চেতা বিচার ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করেন। সুবিচারের মুখ বন্ধ করে দেশবাসীর বিশ্বাসভঙ্গ করার সরকারি প্রচেষ্টা নিন্দনীয়।’
বিজেপির উষ্মা এ দিন বাড়িয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর টুইটও। সকালে রাহুল টুইট করেন, ‘সাহসী বিচারপতি লোয়ার কথা মনে পড়ছে, যাঁকে বদলি করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, সোহরাবউদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা শোনাকালীন আচমকা প্রয়াত হন বিচারপতি লোয়া। ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিচারপতির মৃত্যুর তদন্তের দাবি উঠলেও তার প্রয়োজন নেই বলে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এ দিন রাহুলের খোঁচার জবাবে আইমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা বিচারপতি মূরলীধরের বদলি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা শীর্ষ আদালতের রায়কে সম্মান করেন না।’