উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অলকানন্দা নদীর তীরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হল। আহত হয়েছেন কয়েকজন। যেখানে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেখানেই ট্রান্সফর্মার ফেটে যায়। প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ওই দুর্ঘটনার জেরে প্রকল্পের কেয়ারটেকার-সহ কমপক্ষে ১০ জনের মত্যু হয়েছে। যে পাঁচজন আহত হয়েছেন, তাঁদের জেলা হাসপাতালের ভরতি করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে উত্তরাখণ্ড পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ভি মুরুগেশন জানান, ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন সাতজন। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চামোলির দুর্ঘটনার আপডেট
১) জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে চামোলিতে অলকানন্দা নদীর তীরে নমামী গঙ্গে প্রকল্পের কাজ চছিল। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কেয়ারটেকারের। স্থানীয় বাসিন্দা, কেয়ারটেকারের পরিবারের সদস্য এবং পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। সাইড রেলিং 'বডি' হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁদেরও অনেকজনের মৃত্যু হয়।
২) উত্তরাখণ্ড পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, 'পুলিশের এক ইনস্পেক্টর এবং তিনজন হোমগার্ড-সহ ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে। তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে বডি হয়ে গিয়েছিল রেলিং। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তারপর পুরো বিষয়টি সামনে আসবে।'
৩) চামোলিতে আছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে সাতজন। আহতদের আকাশপথে এইমস হৃষিকেশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
৪) উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের জায়গায় ডিউটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী গণেশ লাল। বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা চলে আসেন। তাঁরা সাইড রেলিং ছুঁতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান।