একই বিয়ের মণ্ডপ। তাতে একই সময় দুই মহিলার সঙ্গে বিয়ে সারলেন এক যুবক। আবার কোনও আপত্তিও করলেন না দুই কন। মত দিয়েছে তিন পরিবাবই। তেলাঙ্গানার আদিলাবাদ জেলার সেই ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন অনেকেই।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ঘনপুর গ্রামের থাকেন অর্জুন নামে ওই আদিবাসী যুবক। বি.এড ডিগ্রি করে আপাতত চাকরির খোঁজ করছেন। দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে দুই মহিলার সঙ্গে প্রেম করছিলেন অর্জুন। দু'জনের সঙ্গেই বিয়ে করতে চাইতেন। মাসখানেক আগে সকলের সামনেই স্বীকার করেন যে দু'জনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। তাতে অবশ্য কোনও পরিবাবের তরফে কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। বরং নির্দ্বিধায় অর্জুনের ইচ্ছা মেনে নেওয়া হয়। তারপরই গত ১৪ জুন ঊষারানি এবং সূর্যকলার সঙ্গে একই মণ্ডপে বিয়ে করেন অর্জুন। তাতে রাজি হয়েছেন দুই কনেও।
কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজের বাবার দিদি তথা পিসির মেয়ে ঊষার প্রেমে পড়েন অর্জুন। তারইমধ্যে অপর এক পিসির মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। কিন্তু ঊষা বা সূর্যকলা সে বিষয়ে কিছু জানতেন না। অর্জুনের বাবা-মা যখন বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেন। তখন দু'জনের সঙ্গে প্রেমের বিষযটি সামনে আসে। গ্রামের এক মোড়ল বলেন, ‘যেহেতু দুই মহিলা সেই বিষয়টি মেনে নেন এবং মহিলাদের পরিবারের তরফেও কোনওরকম আপত্তি তোলা হয়নি, তাই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’
আদিলাবাদ জেলার মণ্ডল প্রজা পরিষদের (এমপিপি) পান্দ্রা জয়ভ্যানথারাও বলেন, ‘দুই মহিলাই বিয়ে করতে ইচ্ছুক ছিলেন। একই ব্যক্তির স্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁদের কোনও আপত্তি ছিল না। আদিবাসী প্রথায় এরকম বিয়ের অনুমতি আছে।’