এই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার। সেখানে এক ৫০ বছর বয়সী আদিবাসী মহিলাকে পুলিশ স্টেশনে বস্ত্রহীন করা হয় বলে অভিযোগ। জেলায় অবৈধ মদ বিক্রির অভিযোগে ওই মহিলাকে পুলিশ স্টেশনে এনে এভাবে অত্যাচার করা হয়। এমন অভিযোগ আদিবাসী অধিকার সংক্রান্ত সমাজকর্মী ও মহিলার পরিবারের।
গত ৯ অক্টোবর আদিবাসী মহিলা চামেলি বাই গ্রেফতার হন। এরপর ১০ অক্টোবর তাঁর অত্যাচারের নির্দশন সিসিটিভি ফুটেজে আসতেই তা প্রকাশ্যে আনেন কয়েকজন সমাজকর্মী। এলাকার মান্দালেশ্বর পুলিশ স্টেশনের মধ্যে মহিলাকে বিবস্ত্র করা হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলা তাঁর লেগিংস সরিয়ে তাঁর গায়ে আঘাতের চিহ্নগুলি দেখান। সঙ্গে ছিলেন দুজন মহিলা পুলিশ। বাকি পুলিশ অফিসাররা দূর থেকে তা পরিলক্ষণ করেন। যদিও পুলিশের দাবি, এই গোটা বিষয়টি রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে। পুরোটাই ভুয়ো অভিযোগ। পুলিশ বলছে, '৯ অক্টোবর অবৈধ বিষমদ বিক্রির অভিযোগে মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গ্রেফতারের পরই দুজন মহিলা পুলিশ স্টেশনে আসেন। তখন এই মহিলা নিজের পোশাক খোলেন তাঁদের কথায়। কোর্টে নিজের কুর্তা ছিঁড়তেও ওই মহিলাকে দেখা যায়।' পুলিশের তরফে সুপারিন্টেডেন্ট ধরম সিং যাদব বলছেন, 'কী বলা হয়েছে, আর কী ঘটেছে সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে কীভাবে বোঝা যাবে, সেখানে তো কথাই শোনা যায়না।'
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলাকে জেলবন্দি করা হয়েছে। আর এখন মানুষ নানান রকমের ভুয়ো তথ্য দিচ্ছে এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে। ওই মহিলা মহুয়া ও ইউরিয়া মিশিয়ে বিষমদ তৈরি করছিল বলে ধরা হয়েছে, বলে জানিয়েছে পুলিশ। যা পান করলে অনেকেরই মৃত্যু হতে পারত বলে দাবি পুলিশের। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে জয় আদিবাসী যুব মোর্চা। তাঁদের দাবি পুলিশের কথাতেই ওই মহিলা নিজের লেগিংস খুলতে বাধ্য হন। এদিকে, পুলিশ বলছে, তাঁকে যে অত্যাচার করা হয়নি, তার ভিডিয়ো তাঁদের কাছে রয়েছে।