সামনা সামনি নয়। হোয়াটস অ্য়াপের মাধ্যমে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন এই তিল তালাক? সূত্রের খবর, আসলে ওই মহিলা তাঁর ভাইকে একটি কিডনি দান করেছিলেন। আর তার বিনিময়ে ওই মহিলার স্বামী বলেছিলেন তিনি যেন ৪০ লাখ টাকা তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে নেন। কিন্তু তিনি সেটা করতে চাননি। এরপরই হোয়াটস অ্য়াপে মেসেজ করে তাঁকে তিন তালাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আব্দুল রশিদ নামে ওই ব্যক্তি সৌদি আরবে থাকেন। তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ওই মহিলা থাকেন উত্তরপ্রদেশের গোন্ডাতে। পুলিশ মুসলিম ওমেন প্রটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ অ্যাক্ট ২০১৯ অনুসারে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অন্যান্য ধারাও লাগু করা হয়েছে। তবে ভারতে অবশ্য় তিন তালাক সেই ২০১৯ সালে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনকী তিন তালাক দিলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে।
কিন্তু ঠিক কী নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে?
সূত্রের খবর, ওই মহিলার ভাই কিডনির সমস্য়ায় ভুগছিলেন। মুম্বইতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ভাইয়ের জীবন বাঁচাতে তিনি ভাইকে কিডনি দান করেন। এদিকে এরপর থেকেই চরম ক্ষুব্ধ মহিলার স্বামী।
এরপরই আব্দুল তার স্ত্রীকে বলেন, ভাইকে কিডনি দিয়েছ। এখন ৪০ লাখ টাকা ওর কাছ থেকে নাও। কিন্তু দিদি তার ভাইয়ের কাছ থেকে কিডনি বাবদ ৪০ লাখ টাকা নিতে চায়নি। এরপরই ওই মহিলাকে হোয়াটস অ্য়াপের মাধ্য়মে তিনবার তালাক তালাক তালাক দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই পুলিশের কাছে ওই মহিলা নালিশ জানায়। পুলিশ ওই প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্দিষ্ট ধারায়। কারণ ভারতে তালাক প্রথা ইতিমধ্য়েই রদ করা হয়েছে।