দুই বছর পর রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলে জানালেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি দাবি করেছেন ২ বছর আগেও প্রাথমিক শ্রেণির ৫৭% ছাত্রছাত্রী শব্দ, বাক্য পড়তে বা মৌলিক পাটিগণিত করতে পারত না। ২০১৯ সালে রাজ্য সরকার compartmentalised priority education প্রকল্প চালু করার পর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
শনিবার সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার ফলাফল দেখে এই অগ্রগতি বোঝা যায়।
প্রাথমিক বিভাগের তৃতীয়--পঞ্চম শ্রেণিতে ৮৮% শিক্ষার্থীদের এবং প্রাথমিক শ্রেণিতে ৯৮% শিক্ষার্থী পাশ করেছে। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬৯% ও ৪৩%।
গত বছরের জানুয়ারিতে দিশা নামে এক নতুন প্রকল্প চালু করা হয়। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের তৃণমূল স্তরে শিক্ষার বিকাশ এবং স্কুলে উচ্চতর শিক্ষামূলক দক্ষতার উপরে জোর দেওয়া হয়। প্রকল্পের অধীনে থাকা সাধনা, প্রেরণা ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন ধরনের ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে সময় নিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।
তিনি বলেন ‘আমরা শিশুদের প্রয়োজনীয়তা বোঝার জন্য শিক্ষক-বাবা মায়েদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। শিক্ষকরা এই কাজের জন্য বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন। লকডাউন কার্যকর হওয়ার আগে আমরা ত্রিপুরায় এ বছর প্রথম কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত প্রশ্নাবলী দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করেছিলাম। ফলাফল দেখে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।’
বর্তমানে ত্রিপুরায় ৪৩৯৮টি সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুল রয়েছে। প্রায় পাঁচ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশুনো করে। এদের মধ্যে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন দিশা প্রকল্পের অধীনে আনা হয়।
২০১৭ সালে National Achievement Survey (NAS) ও প্রথম ফাউন্ডেশন এর Annual Status Education Report (ASER) এর প্রতিবেদনে ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্দশা প্রকাশ পায়। NAS এর সমীক্ষায় দেখা যায় প্রাথমিকে বিভিন্ন ক্লাসে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে ৬২ শতাংশ নিজের নিজের ক্লাসের গণিত পড়ার যোগ্য নয়। এবং ৫৯ শতাংশ বিজ্ঞান পড়ার অযোগ্য।