স্থানীয় সংবাপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল ত্রিপুরার কারবং সম্প্রদায়ের মানুষরা বিপন্ন। তাদের সংরক্ষণের দাবিতে এরপর জনস্বার্থ মামলা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার বিশেষ নির্দেশ আদালতের। প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মোহান্তি ও জাস্টিস শুভাশিস তলাপাত্রের নেতৃত্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে একটি সংবাদপত্রের রিপোর্টের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। কারবং জনজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই বিষয়ের উপর মামলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট হরেকৃষ্ণ ভৌমিক জানিয়েছেন, ওই এলাকা পরিদর্শনের জন্য আদালত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। ওইখানে কার্বং জনজাতির মানুষরা বাস করেন বলে বলা হয়েছে। তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ও তাঁদের কী প্রয়োজন রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে আদালতের কাছে রিপোর্ট পেশ করার কথা বলা হয়েছে। আগামী ১২ই নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আসলে নানা কারণে নিজেদের প্রয়োজনের কথা সরকারের কাছ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন না পিছিয়ে পড়া অনেকেই। বিপন্ন হয় জনজাতির ভাষা, সংস্কৃতি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল স্থানীয় উচ্চারণে কোনও জায়গার নাম যেভাবে উচ্চারিত হয় সেভাবেই নামকরণ করা হোক। মূলত স্থানীয় জনজাতির প্রতি সম্মান জানানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল সরকার। এদিকে ত্রিপুরায় ১৯টি ভিন্ন জনজাতির মানুষ রয়েছেন। কার্বং জনজাতিরও জনসংখ্যা অত্য়ন্ত কম। ইউনেস্কোর দাবি, ভারতে প্রায় ৬০০টি কথ্য ভাষা বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।