গাফিলতির জেরে যাতে করোনা রোগীরা মারা না যান, সেটা নিশ্চিত করতে এবার থেকে হাসপাতালে থাকবেন ত্রিপুরার ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা। সারা দেশে তো বটেই সারা বিশ্বে এমন কটা নজির আছে, সে নিয়ে সন্দেহ আছে। রাজ্য়ের প্রথম শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত হাসপাতাল গোবিন্দ বল্লভ পন্থে প্রয়োজনে ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা থাকবেন বলে ঠিক করেছে সরকার।
আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন ক্রমশ কোভিডে মৃত্যু বাড়ছে। কিন্তু কেউ যেন চিকিৎসার গাফিলতির জন্য মারা না যান। তেমন হলে মন্ত্রীরা পালা করে হাসপাতালে থাকবেন। কয়েকদিন আগে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে তিন দিনের শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা। করোনা পরীক্ষা করাতে গিয়ে এই শিশু মারা যায় বলে তার মা জানায়, যিনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন।
এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় কোভিডে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আত্মহত্যা করেছেন দুই জন করোনা পজিটিভ ব্যক্তি। বিজেপি বিধায়ক ও প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ বর্মনের অবশ্য দাবি যে রাজ্য প্রশাসন কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ।
জুন মাসে সুদীপবাবুকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়। এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সুদীপ রায় বর্মন পূর্ণ সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করারও দাবি করেছেন কারণ এই মুহূর্তে কেবল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে রয়েছে ২৮টি দফতরের দায়িত্ব।
অনেক সময় হাসপাতালে মৃতদেহ পড়ে আছে ও কেউ রোগীদেরও খবর দেওয়ার নেই বলে অভিযোগ করেন সুদীপ দেববর্মন। প্রয়োজনীয় অ্যান্টি ফাইরাল মেডিসিন তুলছে না রাজ্য ও প্লাজমা থেরাপি কেন শুরু করা হচ্ছে না, সেই নিয়েও প্রশ্ন করেন তিনি।