রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। আর ভারতের এই অবস্থানের কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। উল্লেখ্য, ভারতের পাশাপাশি চিনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। এই নিয়ে সেনা সাংসদের কটাক্ষ, ভারতের এই বিদেশ নীতি পরে ভারতকেই আঘাত করতে পারে। তাঁর হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ভারতকে চিন ইস্যুতে একঘরে না হতে হয়।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী টুইট বার্তায় লেখেন, ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা আপনার সম্পর্ককে আরও ভালো করে না, বরং সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আপনার নীতিগুলিকে দুর্বল করে তোলে। আগামীকাল আমরা চিনের বিরুদ্ধে সমর্থন নাও পেতে পারি। আজ আমরা চিনের মতো একই পাশে দাঁড়িয়েছি। যেটি আমাদের বিদেশ নীতি সম্পর্কে অনেক কিছু বলে।’
এরপর সেনা সাংসদ রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনা করে আরও লেখেন, ‘রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের নিন্দা করার প্রস্তাব ছাড়া ইউক্রেনকে মাটিতে সাহায্য করতে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকা কী হতে চলেছে? মিত্র দেশগুলো মুখে সমর্থনের কথা বললেও ইউক্রেনকে একা লড়াই করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘকে নতুন বিশ্ব অর্ডারে নিজের প্রাসঙ্গিকতা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
এরপর মোদী সরকারকে তোপ দেগে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, ‘মজার বিষয় হল যারা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরুর নামে গালাগালি ও সমালোচনা বন্ধ করতে পারে না, তারা রাষ্ট্রসংঘে তাদের অবস্থানের স্বপক্ষে দেওয়ার যুক্তির জন্য ‘জোট নিরপেক্ষ’ নীতি ব্যবহার করছে। ভণ্ডামির সব সীমা পার করছে সরকার।’ উল্লেখ্য, পঞ্চাশ-ষাটের দশকে ভারত আমেরিকা বা সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ না নিয়ে জোট নিরপেক্ষতার অবস্থান গ্রহণ করেছিল। যদিও সেই সময় থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব ভালোই ছিল। বর্তমানে নেহেরুর সেই নীতি অনুসরণ করেই ভারত ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ‘বিরোধিতা’ করছে না।