বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ভোট রণাঙ্গনে কার্যত গত মঙ্র বার থেকে দোলাচল তৈরি করেছেন বিজেপি ত্যাগী প্রাক্তন মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্য। আপাতত তাঁর পরিচিতি সমাজবাদী পার্টির নেতা হিসাবে। এককালে মায়াবতীর বিএসপির মন্ত্রিসভায় তিনি মন্ত্রী থেকেছেন। তবে এবার মায়াবতীর উল্টো প্রান্তে থাকা অখিলেশ শিবিরে স্বামী প্রসাদ। সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে তিনি আগেই জানিয়ে ছিলেন যে, তিনি যে শিবিরে (রাজনৈতিক) থাকেন, সেখানেরই জয় হয়। একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন,'এবার টের পাবে (বিজেপি) স্বামী প্রসাদ মৌর্য কী!'
যোগীর পোক্ত দূর্গে কার্যত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বড়সড় ভাঙন লাগিয়ে আপাতত উত্তরপ্রদেশের ম্যান অফ দ্যা মোমেন্ট অখিলেশ যাদব। সেই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির ক্যাম্পে যোগ দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন নেতা স্বামী প্রাসদ যাদব বলেন, 'বিজেপিকে হারাবই।' একই সঙ্গে খুব স্পষ্ট করে স্বামী প্রসাদ যাদব জানিয়েছেন, ঠিক কোন অঙ্কে তিনি পদ্ম শিবিরকে মাত দিতে চাইছেন। অখিলেশের সঙ্গে দেখা করার আগে স্বামী প্রসাদ বলেছেন, 'বিজেপি আর আরএসএস একটি সাপ। বিজেপির সঙ্গে লড়তে ও অনগ্রসর শ্রেণিকে রক্ষা করতে আমাকে নেউল হতে হবে'। উল্লেখ্য, ২০১২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দখলে ৪৭ টি আসন ছিল। আর ফের একবার যোগী শিবিরকে সেই ৪৭ আসনে ফিরিয়ে দেওয়ার বার্তা দিয়ে এদিন হুঙ্কার দেন স্বামীপ্রসাদ মৌর্য। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে গত তিনদিনে বিজেপির মন্ত্রিসভা ত্যাগ করেন ৩ জন। এরসঙ্গে ৬ জন বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছেন। তাঁরা সকলেই ঝুঁকেছেন সমাজবাদী পার্টির দিকে। এদিকে, বৃহস্পতিবার স্বামী প্রসাদ মৌর্যর সঙ্গে এসে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। যা উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।
স্বামী প্রসাদ সহ যোগী মন্ত্রিসভার ২ সদস্য বিজেপির হাত ছেড়ে সমাজবাদী পার্টি শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনা পদ্মক্যাম্পের দলিত ভোটব্যাঙ্ককে চিন্তায় ফেলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, স্বামী প্রসাদের সঙ্গে তাঁর আরও অনুরাগীরা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করতেই যোগীগড়ে রাজনৈতিক অঙ্ক নিয়ে বহু জল্পনা উঠে আসছে। মৌর্যর অনুরাগী রোশন লাল বর্মা , ব্রিজেশ প্রজাপতি ছাড়াও মন্ত্রী ধরম সিং সাইনি সমাজবাদী পার্টির দিকে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মায়াবতী পন্থী স্বামী প্রসাদ যাদব বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়ে যান ভোটে লড়ার। এরপর যোগী সরকার তখতে আসতেই তিনি মন্ত্রী হন।