শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্য মুসলিমদের সঙ্গে চিনের আচরণকে আবারও ‘গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ চিন ছাড়াও মায়ানমার, ইথিওপিয়া, দক্ষিণ সুদানের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জাতিগত গণহত্যা অভিযোগ আনা হয়েছে৷
উইঘুরদের বন্দি করে রাখা, জোরপূর্বক শ্রম আদায়-সহ নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগে চিনের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকেই সরব আমেরিকা৷ এই আচরণকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে আসছে ওয়াশিংটন৷ বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে চিন৷
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক সে দেশের কংগ্রেসের কাছে জমা দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদনেও বলেছে, চিন শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর-সহ অন্য মুসলিম ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর উপর গণহত্যা চালাচ্ছে৷ বন্দি করা, নির্যাতন চালানো, জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণ, নিষ্ঠুরতা-সহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে৷
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমেরিকা আগেই শিনঝিয়াংয়ের বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল৷ গত ৯ জুলাই সেখানকার আরও ১৪টি কোম্পানির নাম যুক্ত করা হয়েছে৷ এসব প্রতিষ্ঠানে এখন থেকে কোনও মার্কিন বিনিয়োগ পাবে না৷
বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ‘পুনঃশিক্ষা ক্যাম্পের’ নামে শিনজিয়াংয়ে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর, কাজাখ, হুই ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের আটক করে রেখেছে চিন৷ বেজিংয়ের অভিযোগ, উইঘুররা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রমে জড়িত৷ এদিকে সোমবারের মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিবেদনে চিন ছাড়াও মায়ানমার, ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ সুদানের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন প্রচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এক্ষেত্রে দেশগুলোর বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷