F-16 যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণে পাকিস্তানকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় কূটনীতিকরা। বলা হচ্ছে, আমেরিকা এখন পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে তাল মেলাতে সাহায্য করছে। যদিও আমেরিকার দাবি, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপের জন্য এই সাহায্য করা হচ্ছে পাকিস্তানকে। (আরও পড়ুন: রানির মৃত্যুতে বদলে যাবে UK-র জাতীয় সঙ্গীত থেকে মুদ্রা, শুরু 'অপারেশন ইউনিকর্ন')
পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার জি পার্থসারথি এই বিষয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধবিমানগুলির উন্নত রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা রয়েছে৷ পরিষ্কারভাবে এর মাধ্যমে পাকিস্তানের যুদ্ধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ভারতের কাছে এটা স্পষ্ট বার্তা যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে আমাদের সঙ্গে সমান পর্যায়ে রাখতে চায় যুদ্ধক্ষমতার নিরিখে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অতীতেও এই ধরনের ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের উচিৎ উদ্বেগের সাথে এই বিষয়টি উত্থাপন করা। আমেরিকাকে রাজনৈতিক ভাবে এবং অন্যান্য ভাবে একটি সংকেত পাঠানো উচিত ভারতের। কারণ এই বিষয়টি উপেক্ষা করে থাকা যায় না।’
এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে F-16 যুদ্ধবিমানের বহর বজায় রাখতে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে না আমেরিকা। তবে ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্তকে উলটে দিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিদ্ধান্ত নেন যে পাকিস্তানকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা করা হবে। আমেরিকার দাবি, পাকিস্তানকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে পারে। এর আগে আফগান তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ককে না রুখতে পারায় পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।