নার্সিংহোম থেকে দেহ ব্যাগে ভরে অন্ত্যেষ্ঠির জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদিকে ৬৬ বছর বয়সী ওই মার্কিন মহিলা আচমকাই ভেতর থেকে নড়াচড়া শুরু করে দেন। নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য তিনি হাসফাঁস শুরু করে দেন। Death Bag খুলে নাকি এমনটাই দেখা গিয়েছে।এই খবর প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্টে। এদিকে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এবার ভারতীয় মুদ্রায় ৮.২ লাখ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। একজন জীবিত মানুষকে মৃত বলে ঘোষণা করার জেরে এই জরিমানা করা হয়। স্টেট ল অনুসারে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হয়েছে। ওই বাসিন্দাকে উপযুক্ত চিকিৎসা না দেওয়া অভিযোগ উঠেছে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, ওই নার্সিংহোমের এক স্টাফ মেম্বার গত ৩ জানুয়ারি বহু চেষ্টা করেও মহিলার পালস পাচ্ছিলেন না। এদিকে ওই রোগিণীর ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা ছিল। এরপর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট অনুসারে ওই মহিলা মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন। তার শরীর একেবারে অসার হয়ে যেত। হাসপাতালেও তেমনটাই হয়েছিল। এরপর ১২ ঘণ্টার সিফট শেষ করার সময় এই পরিস্থিতি দেখে নার্সকে খবর দেন হাসপাতাল কর্মী।নার্স দেখেন মহিলার হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ৯০ মিনিট পরে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এরপর তার দেহ ব্যাগে পুরে ফেলা হয়। তারপর তা আঙ্কেনি ফিউনেরাল হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সেখানে স্টাফরা বুঝতে পারেন মহিলা বেঁচে আছেন।তবে ফিউনেরাল হোমের কর্মীরা কিংবা সেকেন্ড নার্সরা অবশ্য প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে তিনি বেঁচে রয়েছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ৮টা ২৬ মিনিট নাগাদ ওই ডেথ ব্যাগের চেনটা খুলে ফেলা হয়। তারপর তাঁরা যা দেখলেন তাতে তো তাঁদের চোখ কপালে। মহিলার বুক শ্বাস প্রশ্বাসের জেরে ওঠানামা করছে। তিনি নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য কার্যত ছটফট করছেন। এই দৃশ্য দেখে তাকে দ্রুত স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯১১তে ফোন করা হয়। তখনও দেখা যায় তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। এরপর তাকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার।
তবে অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালে মহিলার উপযুক্ত দেখভাল করা হয়নি যথাযথ ভাবে। মৃত্যু হয়েছে কি না সেটাও সঠিকভাবে দেখা হয়নি। সেকারণেই জরিমানা করা হয়েছে।