কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল ইসলামাবাদ। আর সেই ঘটনার পরই এবার ইউ টার্ন নিল আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের তরফে বলা হল, পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের ক্ষমতার উপর তাদের আস্থা রয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বেদান্ত প্যাটেল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি এবং তাদের পারমাণবিক সম্পদ সুরক্ষিত করার ক্ষমতার প্রতি আস্থাশীল যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ পাকিস্তানকে সবসময়ই নিজেদের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আরও বিস্তারিত বলতে গেলে, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতাকে মূল্য দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’
এর আগে শুক্রবার ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসেশনাল ক্যাম্পেন কমিটি রিসেপশনে একাধিক বিদেশি রাষ্ট্র নিয়ে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেই সময়ই পাকিস্তানকে ‘বিপজ্জনক দেশ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ হল পাকিস্তান। সে দেশের হাতে নিয়ন্ত্রণহীন পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
এরপরই পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে আবারও বলতে চাই: পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল পারমাণবিক রাষ্ট্র এবং আমরা গর্বিত যে আমাদের পারমাণবিক সম্পদ IAEA-র (আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) নীতি অনুসারে সর্বোত্তম ভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। আমরা এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখি। কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয় এই নিয়ে।’ এদিকে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও জানিয়েছিলেন, বাইডেনের মন্তব্যে তিনি অবাক।
প্রসঙ্গত, বাইডেনের এই মন্তব্য এমন এক সময় এল যখন মার্কিন-পাক সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছিল। এই আবহে এবার ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। গত মাসের গোড়ার দিকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণে পাকিস্তানকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে আমেরিকা। তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারত। যদিও সেই প্রসঙ্গে পেন্টাগনের বক্তব্য, ‘আমেরিকা যে অর্থ সহায়তা করেছে, তার ফলে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারেন। তাতে আমেরিকার বৈদেশিক নীতি সুরক্ষিত থাকবে।’