থমকে গিয়েছে উত্তরকাশীর উদ্ধারকাজ। কারণ ধসে পড়া নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে রয়েছেন বহু শ্রমিক। আর তার উপর শুক্রবার আবার নতুন করে ধস নেমেছে। সুতরাং থামিয়ে দিতে হয়েছে উদ্ধারকাজ। এই আবহে ৬ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু আজ, শনিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যে সব শ্রমিক সুরঙ্গের ভিতরে আটকে পড়েছিল তাঁদের একে একে উদ্ধার করে ‘অ্যান্টি ডিপ্রেশন’ ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে। এই ট্যাবলেট খেলে অনেকটা সুস্থবোধ করবেন শ্রমিকরা বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা এসেছিলেন। কিন্তু এভাবে ধস নামায় বিপদে পড়েছেন শ্রমিকরা। তাঁদের বাড়ির লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে টেনশনে, আতঙ্কে দিন কাটছে এই শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের। এই পরিস্থিতিতে আজ একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েছে এখানকার রাজ্য সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্য দফতর এখানে একটি ক্যাম্প গড়ে তুলেছে। সুরঙ্গের বাইরে এই ক্যাম্পে ছটি শয্যা রাখা রয়েছে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ১০টি অ্যাম্বুলেন্স রাখা রয়েছে সুরঙ্গের বাইরে। এমনকী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যন্ত এখানে রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, বিকোসুল জেড এবং অ্যান্টি ডিপ্রেশন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে।’ তাতে দ্রুত সুস্থ হবেন তাঁরা বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরকাশীর ওই নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে এখনও পর্যন্ত ২৪ মিটার ধ্বংসস্তূপ সাফ করা গিয়েছে। এই ঘটনা থেকে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে উত্তরকাশীর চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. আরসিএস পানওয়ার বলেন, ‘আমরা ওখানে সিনিয়র চিকিৎসক পাঠিয়েছি। যাঁরা আটকে রয়েছে তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকরা ওই চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে বমি এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাইপের মাধ্যমে ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি দেওয়া হয়েছে। খাবারের মধ্যে চানা আর সেদ্ধ ভাত দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ‘পথশ্রী প্রকল্পের টাকা পকেটস্থ করছে বিজেপি’, মালদার ঘটনায় প্রমাণ দিলেন কুণাল
তবে এবার উদ্ধারকারী বিশেষ দলের পরিকল্পনা উপর থেকে খনন কাজ শুরু করা হবে। সুড়ঙ্গে সোজাসুজি খনন কাজের ক্ষেত্রে বারবার বাধা তৈরি হওয়াতেই সুড়ঙ্গের ছাদ ফুটো করে আটকে পড়া ৪০ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। গত ১২ নভেম্বর ভেঙে পড়েছিল সুড়ঙ্গের একটা অংশ। আর তখন ভিতরেই আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তাঁদের কাছে পৌঁছনো না গেলেও কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ কিছুটা সরিয়ে জল, অক্সিজেন এবং খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।