গুজরাটে ভয়াবহ সেতু বিপর্যয়। মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এদিকে সংস্কারের চারদিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ল ইংরেজ আমলের এই সেতু। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি সেতু সংস্কারের ক্ষেত্রে কোথাও দুর্নীতি হয়েছিল? তবে কি গুজরাটেও সেতু সংস্কারের ক্ষেত্রে কাটমানি নেওয়া হয়েছে? যার জেরে সেতু সংস্কারের ক্ষেত্রে নানা গলদ ছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগে তাড়াহুড়ো করে সেতু জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এমনটাই দাবি কংগ্রেসের।
এদিকে মৃতের সংখ্য়া হু হু করে বাড়ছে। গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। আর এর মধ্যেই সামনে আসছে কাটমানির তত্ত্ব। বিশেষত বাংলার তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ এনিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাঁদের একাংশের দাবি, বাংলায় কাটমানির কথা বলা হয়। তবে কি গুজরাটের এই সেতুতেও কাটমানি নেওয়া হয়েছিল?
বাংলার পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই গুজরাট থেকে দেশ পরিচালনা করেন। আসলে দুর্নীতি হচ্ছে। বাংলার বিজেপি নেতাদের নিয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করে ওখানে পাঠানো হোক। ওখানে কত কোটির দুর্নীতি আছে। সেটা তাঁরা দেখুন।
এনিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা দুর্ঘটনা। যদি কেউ দোষী থাকেন শাস্তি পাবেন। পোস্তার ব্রিজ ভাঙল, কারা শাস্তি পেয়েছেন? মালবাজারে ম্যান মেড ঘটনা হল কারা শাস্তি পেয়েছেন?
গুজরাটে ব্রিজ বিপর্যয়ের জেরে কেন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব বিশেষ মুখ খুলছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার শাসকদলের নেতৃত্ব। তবে অনেকের মতে, এখন রাজনৈতিক তরজাকে দূরে রেখে গুজরাটের বিপর্যয়ের পাশে দাঁড়াক বাংলা সহ গোটা দেশ, এটাই কাম্য।