মোদীর পোস্টার জড়িয়ে চুম্বন কৃষকের, সঙ্গে অঝোরে কান্না
আগামী মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কর্ণাটকে। আপাতত সেরাজ্যে ক্ষমতায় থাকলেও দুর্নীতি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি। এই আবহে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে গেরুয়া শিবিরের ভরসা 'ব্র্যান্ড মোদী'। কারণ কর্ণাটকে বিজেপির সবচেয়ে বড় 'মুখ' বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবার নির্বাচনী রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এহেন ভোটমুখী কর্ণাটকে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। যা দেখে মুখে হাসি ফুটতে পারে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক বৃদ্ধ কৃষক বাসে লাগানো প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি জড়িয়ে তাতে চুম্বন করতে দেখা যায়। (আরও পড়ুন: '৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট হবে', সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে বড় ছক ডিএ আন্দোলনকারীদের)
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কর্ণাটক রাজ্য পরিবহণ বিভাগের একটি বাসে জি২০ সম্মেলনের একটি বিজ্ঞাপন লাগানো ছিল। সেই পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ছিল। মোদীর সেই ছবি জড়িয়ে ধরে চুম্বন দিতে দেখা যায় সেই বৃদ্ধ কৃষককে। সাদা জামা নীল হাফ প্যান্ট পরে থাকা সেই কৃষককে কাঁদতে দেখা যায়। কাঁদতে কাঁদতে কন্নড় ভাষায় সেই কৃষককে বলতে শোনা যায়, ‘আগে আমি ১,০০০ টাকা করে পাচ্ছিলাম। আপনি আরও ৫০০ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি বলেছেন, আপনি আমাদের বাড়ি করে দেবেন। আপনি বলেছেন আমাদের স্বাস্থ্যবীমার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেবেন। আপনাকে আমি প্রণাম জানাই, আপনি বিশ্ব জয় করবেন।’ (আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে আদালতে যাবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা)
উল্লেখ্য, এবার একদফায় হতে চলেছে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন। এই রাজ্যে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ২২৪। বুধবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ মে কর্ণাটকে ভোটগ্রহণ হবে। তারপর আগামী ১৩ মে ঘোষণা করা হবে ভোটের ফলাফল। কর্ণাটকে মোট বুথের সংখ্যা ৫৮,২৮২। ৫০ শতাংশ আসনে ওয়েবকাস্টিং করা হবে। গড়ে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৮৮৩। শহরাঞ্চলে মোট বুথের সংখ্যা ২৪,০৬৩। সেই রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ৫,২১,৭৩,৫৭৯। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২,৬২,৪২,৫৬১। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ২,৫৯,২৬,৩১৯। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৪,৬৯৯। এর আগে ২০১৮ সালে কর্ণাটকে ১০৪ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল ৭৮ টি আসন। জেডিএস ৩৭ টি আসনে জিতেছিল। জেডিএস এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে প্রথমে সরকার গঠন করলেও পরে সেই সরকার ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করেছিল। এবার সেই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইতে নামবে বিজেপি।