ভিডিয়ো কনফারেন্সে আয়ুব প্যাটেল নামে একজন ব্যক্তি যোগ দেন। সেখানেই তাঁর মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাটে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য একটি অনলাইন অনুষ্ঠান হচ্ছিল। তাতে এক ব্যক্তিকে তাঁর মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গুজরাটের ভারুচের ‘উৎকর্ষ সমারোহ’-তে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে আয়ুব প্যাটেল নামে একজন ব্যক্তি যোগ দেন। সেখানেই তাঁর মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনার মেয়ের স্বপ্ন পূরণে কোনওরকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন।
ওই ব্যক্তি জানান, কেন্দ্রে মোদী সরকার আসার পর থেকে তাঁর মেয়েরা স্কলারশিপের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে। এরপর ওই ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দেখুন সেই ভিডিয়ো:
#WATCH | While talking to Ayub Patel, one of the beneficiaries of govt schemes in Gujarat during an event, PM Modi gets emotional after hearing about his daughter's dream of becoming a doctor & said, "Let me know if you need any help to fulfill the dream of your daughters" pic.twitter.com/YuuVpcXPiy
ভারুচের এই ভার্চুয়াল ইভেন্টে জেলার চারটি মূল সরকারি প্রকল্পের ১০০% সম্পূর্ণতা উদযাপন করা হয়। এই প্রকল্পগুলির অধীনে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। ফলে সেগুলি হয় কাগজে-কলমে রয়ে যায়, নয় তো যোগ্য ব্যক্তিরা এগুলির সুবিধা পান না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত একটি বিশেষ অভিযান - 'উৎকর্ষ উদ্যোগ' - চালানো হয়। তার উদ্দেশ্য ছিল বিধবা, বয়স্ক এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের সহায়তা প্রদানকারী প্রকল্পগুলির সম্পূর্ণ সচেতনতা বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করা।
আধিকারিকরা জেলার সমস্ত গ্রাম ও পৌরসভা এলাকার ওয়ার্ডে উৎকর্ষ শিবির স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে আবেদনকারীদের 'অন-স্পট' অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করা হয়।
জেলা প্রশাসন চারটি প্রকল্পে মোট ১২,৮৫৪ জন সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করে।