যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (এসবিআই) ঝাড়়ুদার ছিলেন, সেখানেই অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হলেন।
রিল নয়, রিয়েল লাইফেই এক নজির তৈরি করলেন প্রতীক্ষা তোন্দওয়ালকার। তবে সেই পথটা একেবারেই সহজ ছিল না। পরিবারের আর্থিক অবস্থার কারণে মাত্র ১৭ বছরেই সদাশিব কাডুর সঙ্গে প্রতীক্ষার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। এমনকী দশম শ্রেণির পরীক্ষাও দিতে পারেননি।
বিয়ের এক বছর পরে পুত্রসন্তানের মা হন প্রতীক্ষা। পরিবারে সন্তান আসার পরে গ্রামে পুজো দিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রতীক্ষা এবং সদাশিব। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত চিরকালের মতো প্রতীক্ষার জীবন পালটে দিয়েছিল। গ্রামে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় সদাশিবের মৃত্যু হয়। যিনি মুম্বই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রধান শাখায় বুক বাইন্ডার হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: Video: PhonePe-র QR কোড জ্বালিয়ে দিচ্ছেন Paytm কর্মীরা! পুলিশে দায়ের অভিযোগ
বিয়ের তিন বছর পর স্বামীকে হারিয়ে অথৈ জলে পড়েছিলেন প্রতীক্ষা। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকায় প্রতীক্ষার পক্ষে চাকরি পাওয়া রীতিমতো সমস্যার হয়ে উঠেছিল। তবে হাল ছাড়েননি। এসবিআইতে ঝাড়ুদার হিসেবে কাজ করে পরিবারের হাল সামলাতে থাকেন। সকালে দু'ঘণ্টা কাজ করতেন। ছেলের দেখভালের মধ্যে অন্য কাজও চালিয়ে যেতে থাকেন। সেইসঙ্গে পড়াশোনা করতে থাকেন প্রতীক্ষা। মুম্বইয়ের ভিখরোলির নাইট কলেজে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকেন।
লড়াইটা কঠিন হলেও দাঁতে-দাঁত চেপে এগিয়ে থাকেন প্রতীক্ষা। ধীরে-ধীরে নিজের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৯৫ সালে সাইকোলজিতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। ডিগ্রি অর্জনের পর তাঁর পদোন্নতি হয়েছিল। ঝাড়ুদার থেকে ক্লার্ক পদে পদোন্নতি হয়েছিল প্রতীক্ষার। সেখানেই থেমে যাননি। ধাপে-ধাপে উপরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। আপাতত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় অ্যাসিসট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন।