বিগত দিনে অনলাইন পড়াশোনার প্রসার ঘটেছে অনেকটাই। একাধিক সংস্থা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়াদের অনলাইনেই টিউশন দিয়ে থাকে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সংস্থা হল আনঅ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে এই সংস্থা। এর আগে আইন বিষয়ক এক শিক্ষক অমিত শাহকে নিয়ে মন্তব্য করে চাকরি হারিয়েছিলেন। আর এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সেই আনঅ্যাকাডেমিরই প্রাক্তন এক শিক্ষক। মোদীকে মহম্মদ ঘোরির সঙ্গে তুলনা করেন অবধ ওঝা। তাঁর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া অবধ ওঝার ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে দেখা যায়, মুঘল রাজবংশের মতো মোদীরও রাজবংশ হবে। ভিডিয়োতে তিনি আরও বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীরও কোনও সন্তান নেই, মহাম্মদ ঘোরিরও কোনও সন্তান ছিল না। অবধ ওঝা আরও বলেন যে নতুন সংসদ ভবনটি হবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাসাদ। তাঁর সেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এর আগে এক শিক্ষক আইনের পাঠ পড়াতে পড়াতে পড়ুয়াদের বলেছিলেন, 'শিক্ষিত প্রার্থীদেরই ভোট দেওয়া উচিত'। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিল আনঅ্যাকাডেমি। সেই শিক্ষকের নাম ছিল করণ সাঙ্গওয়ান। সম্প্রতি করণের ক্লাসের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম না হাসব না কাঁদব (সিআরপিসি তুলে নয়া বিধি আনার পরিপ্রেক্ষিতে)। আমিও অনেক খেটেছিলাম। আমার নোট তৈরি করা ছিল। আবার করতে হবে। কিন্তু একটা জিনিস মনে রাখবেন, এরপরে যেন শিক্ষিত কাউকে ভোট দেবেন। এমন কাউকে নয়, যারা শুধু বদলাতে জানে। এমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন যারা বিষয়টা বোঝে। শুধু নাম বদল করে না।’
এই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে সোশ্যায় মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এক বার্তায় আনঅ্যাকাডেমির সহপ্রতিষ্ঠাতা রোমান সাইনে লেখেন, 'আমরা একটি শিক্ষা প্রদানকারী প্ল্যাটফর্ম। মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা। এটা করার জন্য আমরা আমাদের সমস্ত শিক্ষাবিদদের জন্য একটি কঠোর আচরণবিধি তৈরি করেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরপেক্ষ ভাবে জ্ঞান আহরণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আমরা যা কিছুই করি না কেন, তার কেন্দ্রবিন্দুতে আমাদের শিক্ষার্থীরা থাকে। শ্রেণীকক্ষ ব্যক্তিগত মতামত ভাগ করে নেওয়ার জায়গা নয়। কারণ এতে পড়ুয়ারা ভুলভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে করণ সাঙ্গওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে আমরা বাধ্য হয়েছিলাম।' এই আবহে অবদ ওঝার বিরুদ্ধেও করণের মতো পদক্ষেপ করা হবে কি না, সেটাই দেখার।