অনন্তনাগ জেলার গারোল বনাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযান শেষ হল মঙ্গলবার। এই অভিযানে বড় সাফল্য হল লস্কর জঙ্গি উজেইর খানের মৃত্যু। কাশ্মীর পুলিশের অতিরিক্তি ডিজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। যৌথ বাহিনীর গুলিতে আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তবে দেহ এখনও উদ্ধার হয়নি। বাহিনীর অভিযান এখনই বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এডিজি বিজয় কুমার।
এডিজি বলেন, 'জঙ্গলের মধ্যে বেশ কিছু তাজা সেল পড়ে রয়েছে। সেগুলিকে উদ্ধার করে ধংস করতে হবে।' এলাকার বাসিন্দাদের জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । পুলিশ কর্মীরা সেই গ্রেনেডগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
এডিজি বলেন, 'আমাদের কাছে খবর ছিল দুই থেকে তিনজন সন্ত্রাসবাদী জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। তাদের মধ্যে দু'জন মারা গিয়েছে। এখনও একজন লুকিয়ে থাকতে পারে। তার খোঁজে আমরা তল্লাশি চালাচ্ছি।'
(পড়তে পারেন। খলিস্তান ইস্যুতে জি২০-তে খেয়েছিলেন মোদীর 'ধমক', এখন জি৭-এর কাছে 'নালিশ' ট্রুডোর)
বেশ কিছু গোপন ডেরার হদিশ মিলেছে পাহাড়ে। সেগুলি ধ্বংস করার কাজ চলছে বলে এডিজি জানিয়েছেন।
সেনা জানিয়ে, নিহত লস্কর কমান্ডার উজেইর আহমেদ খান অনন্তনাগের নাগাম কোকেরনাগের বাসিন্দা। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই সে স্কুল ছেড়ে দেয়। গ্রামে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করত সে। ২০২২ সালের ৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল। গোয়েন্দার নিশ্চিত ছিলেন উজেইর জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে।
কোকেরনাগের পাহাড়ি এলাকা তার হাতের তালুর মতো চেনা ছিল। তাই তাকে এই সংঘর্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।
গত বুধবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়। শুরুতেই জঙ্গিদের গুলিতে মারা যান কার্নেল মনপ্রীত সিং, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মেজর আশিস ধনচাক এবং জম্ম কাশ্মীর পুলিশে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট হুমায়ুন। অভিযানের প্রথম দিন নিখোঁজ হওয়া এক সেনার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় লস্কর কমান্ডার উজেইরের। তার মৃতদেহ মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছে। তবে আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে ধরেই অভিযান জারি রাখছে যৌথবাহিনী।