বিগ বুল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার বিশাল সাম্রাজ্য। সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা। তাঁর প্রয়াণের শোকে এখনও স্তব্ধ শেয়ার বাজার। তবে এ কথাও মনে রাখা দরকার, বহু ব্যক্তিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান দিয়েছিলেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। শেয়ার বাজার ছাড়াও অন্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আছে তাঁর। আকাশা বিমান সংস্থা যার মধ্যে অন্যতম।
এমন পরিস্থিতিতে তাঁর এই বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কে হবেন, এই নিয়ে উত্সুক অনেকে। মনে করা হচ্ছে, আপাতত রাকেশের স্ত্রী, রেখা ঝুনঝুনওয়ালা এই সাম্রাজ্যের হাল ধরবেন। সঙ্গে তাঁর দুই পুত্র আর্যমান এবং আর্যবীর ঝুনঝুনওয়ালাও থাকবেন।
রবিবার রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত হন। তাঁর ৬২ বছর বয়স হয়েছিল। দুবাই থেকে তাঁর ভাইয়ের আসার পর, সোমবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের বনগাঙ্গা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা অ্যাপটেক লিমিটেড এবং হাঙ্গামা ডিজিটাল মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিলকেয়ার লিমিটেড, প্রজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রোভোগ ইন্ডিয়া লিমিটেড, কনকর্ড বায়োটেক লিমিটেড, ইনোভাসিন্থ টেকনোলজিস লিমিটেড, প্রাইম ফোকাস লিমিটেড, জিওজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, মিড ডে মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড, নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড, ভাইসরয় সিকিউরিটি লিমিটেড এবং ডিরেক্টর টপস হোটেল লিমিটেডের বোর্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। ফলে তাঁর উত্তরসূরীদের দায়িত্ব নেহাত্ কম হবে না।
আকাশা এয়ার
নতুন আকাশা এয়ারে রাকেশ ও তাঁর স্ত্রীর মোট শেয়ার ৪০%-এরও বেশি। এছাড়াও তিনি স্টার হেলথ অ্যালাইড ইন্স্যুরেন্সের প্রোমোটার। জুন ত্রৈমাসিকে, এতে তাঁর প্রায় ১৭.৪৬% শেয়ার ছিল।
রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতের ওয়ারেন বাফেট হিসাবে পরিচিত। দেশের সবচেয়ে সফল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। ১৯৮৫ সালে মাত্র ৫,০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেন। তখন BSE সূচক ছিল ১৫০-এ। স্ত্রী রেখার পরামর্শ মেনে ২০০৩ সালে তিনি নিজস্ব স্টক ট্রেডিং ফার্ম 'রেয়ার'(Rare) এন্টারপ্রাইজের সূচনা করেন।