বাল্যবিবাহ রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করল অসম সরকার। ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়েকে বিয়ে করলেই তাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং পকসো আইনে মামলা করা হবে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরেই এ কথা জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এর ফলে রাজ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যাবে বলে মনে করছে অসম সরকার। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ হল বাল্যবিবাহ। তাই আমাদের মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা করা। সেই কারণেই ১৪ বছরের কম বয়সি মেয়ের বিয়ে হলে পকসো আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত।’ পাশাপাশি ১৪-১৮ বছরের মধ্যে মেয়েদের বিয়ে করলে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
২০১৯-২০ সালে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে দেখা গিয়েছে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে শতকরা ৩১.৩ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে। ১৫-১৯ বছর বয়সি মেয়েদের বিয়ের শতকরা পরিমাণ হল ১১.৭ শতাংশ। এর মধ্যে গর্ভবতী হয়েছেন ৬.৮ শতাংশ মহিলা। অসমে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে ধুবরি জেলায়। যেখানে বাল্য বিবাহের হার ৫০ শতাংশের বেশি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাল্যবিবাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, তাদের গ্রেফতার এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই অভিযান চালানো হবে।
মন্ত্রিসভার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবকে বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা আইনের ১৬ ধারায় বাল্যবিবাহ নিষেধাজ্ঞা অফিসার হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী বাল্যবিবাহ করালে পুরোহিতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup