মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় আচমকা প্রাণ হারিয়েছেন দেশের প্রথম চিফ অফ স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। অতি সংবেদনশীল এই মৃত্যুর ঘটনা সরকারি ভাবে প্রকাশ করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় নেওয়া হয় সরকারের তরফে। আর এরই মাঝে বুধবারই সন্ধ্যায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রি গোষ্ঠীর বৈঠক বসে ৭ লোক কল্যাণ মার্গে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব পরবর্তী সিডিএস-এর নিযুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অতিম শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালরা উপস্থিত হন। একদিকে চিনের আগ্রাসন, অন্যদিকে পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের মাঝে সিডিএসের অকাল প্রয়াণ যে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন যে ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানেকেই পরবর্তী সিডিএস ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, জেনারেল বিপিন রাওয়াতের প্রয়াঁের পর বর্তীমানে সবচেয়ে সিনিয়র সামরিক অফিসার হলেন নারাভানে। সরকার যদি সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই সিডিএস নিযোগ করে, সেক্ষেত্রে জেনারেল নারাভানেই পরবর্তী সিডিএস হবেন। বাকি দুই বাহিনীর প্রধানরা জেনারেল নারাভানের থেকে দুই বছর ছোট। এদিকে জেনারেল নারাভানেকে সিডিএস পদে বসানো হলে সেনা প্রধানের পদটি ফাঁকা হয়ে যাবে। সেনায় জেনারেল নারাভানের পর সবচেয়ে সিনিয়র আধিকারিকরা হলেন সেনার উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিপি মহান্তি এবং নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াইকে যোশী।
তবে এনডিএ সরকার যে সিনিয়রিটির ভিত্তিতেই সেনা প্রধান বা সিডিএস নিয়োগ করবেন, এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। এর আগে জেনারেল রাওয়াতকে যখন সেনা প্রধান করা হয়েছিল, তখন তাঁ থেকে দুই জন সিনিয়র আধিকারিক সেনায় ছিলেন। সেক্ষেত্রে এবারও সেই পথে যে সরকার হাঁটবে না, তা হলফ করে বলতে পারছে না কেউ। তবে এই নিয়োগ যে সেনার উচ্চ পদের ধারাবাহিকতা নষ্ট করবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আগামী সিডিএস ও সম্ভবত আগামী ভারতীয় সেনা প্রধানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে সরকারের তরফে।