চিনের কারাওকে বারগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে কিংবা ধর্মীয় চর্চায় বাধা দেয় বা মাদক গ্রহণে উৎসাহিত করে এমন গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷
চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ‘ক্ষতিকর গান' বাজানো বন্ধে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি৷ কোন গানগুলো বাজানো যাবে না তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে চিনের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রক৷
এই ‘কালো তালিকায়' জাতীয় সংহতি, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হতে পারে এমন গানের পাশাপাশি রাষ্ট্রের ধর্মীয় নীতির বিপক্ষে যায় এমন সংগীতও যোগ করা হবে৷ পাশাপাশি জুয়া খেলা বা মাদক গ্রহণের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগায় এমন গানও কারাওকে বারে নিষিদ্ধ হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷
‘ভালো এবং উৎসাহব্যঞ্জক' গান বাজানো যাবে
কারাওকে বারগুলিতে সাধারণত কোনও একটি গানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে সেটি গাইতে পারেন সাধারণ মানুষ৷ পশ্চিমী দেশগুলেিতেও এই ধরনের বার রয়েছে৷ চিনের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে, কারাওকে বারে যেসব প্রতিষ্ঠান গান সরবরাহ করছে, তাদের দায়িত্ব হবে কালো তালিকায় থাকা গানগুলো বাদ দেওয়া৷ পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বারে ‘ভালো এবং উৎসাহব্যঞ্জক' গান সরবরাহ করারও আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷
শিনহুয়াতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চিনে পঞ্চাশ হাজারের মতো বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে, যেখানে এক লাখের মতো গান বাজানো হয়৷ গত বছর বেজিংয়ে ১০০ গান নিষিদ্ধ করেছিল, যেগুলো সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে বলে দাবি কমিউনিস্ট দেশটির৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতা, পর্নোগ্রাফি এবং রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল মতামতের মতো কন্টেন্ট কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চীন৷ দেশটিতে বাক এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অত্যন্ত সীমিত৷