‘আদামি মেগাস্ক্যাম’-র বিস্তারিত তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (কমিউনিকেশনস) জয়রাম রমেশ। তিনি দাবি করেছেন যে আগামী জুনে ইন্ডিয়া জোটের সরকার ক্ষমতায় আসার পরই সেই যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হবে। সেইসঙ্গে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটার রেশ ধরে তিনি দাবি করেছেন, ভারতের বাজারের মূল নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া) অবশেষে ‘আদামি মেগাস্ক্যাম’-র মূল হোতাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে বলে মনে হচ্ছে। গত বছর 'মোদানি' (নরেন্দ্র মোদী এবং গৌতম আদানিকে মোদানি বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা) দাবি করেছিল যে আদানি গ্রুপকে ক্লিনচিট পেয়েছে। কিন্তু সেবি যে এক ডজন বিদেশি তহবিলের হদিশ পেয়েছে, তাতে পুরো খেলা ঘুরে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা।
তিনি দাবি করেছেন, রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ থাকা এক ডজন বিদেশি তহবিলের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যা বিনিয়োগের নিয়ম-সহ অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গ করেছে। তার ফলে মোদীর ‘কাছের বন্ধু’ আদানি যে বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত আছেন, সেটা আর ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার দাবি, সন্দেহটা সরাসরি আদানির ঘনিষ্ঠ নাসের আলি শাবান আহলি এবং চ্যাং চুং-লিংয়ের উপর পড়েছে। আগে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে শেয়ার মালিকাধীন নিয়মভঙ্গের অভিযোগে নাসেরের সংস্থার তদন্ত করছে সেবি। সেইসঙ্গে শেয়ারের দাম হেরফের করার জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার অভিযোগও উঠেছিল।
শুধু তাই নয়, জয়রাম দাবি করেছেন যে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আদানি গ্রুপকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ওই দু'জন বেনামি তহবিল ব্যবহার করেছিলেন। একটা সময় তো আদানি পাওয়ার, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস এবং আদানি ট্রান্সমিশনে আট থেকে ১৪ শতাংশ শেয়ার ছিল। তার ফলে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার কাছে বেনামি ২০,০০০ টাকা কোটি টাকা এসেছিল।
সেই পরিস্থিতিতে সেবিকে অবিলম্বে 'আদানি মেগাস্ক্যাম' নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে দাবি তুলেছে কংগ্রেস। জয়রামের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভয়ে কুঁকড়ে ছিল সেবি। সৎ-সাহস দেখাতে পারেনি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের চাপে পড়ে অবশেষে পদক্ষেপ করেছে। সেইসঙ্গে জয়রাম দাবি করেছেন যে আদানির মতো মোদীর 'বন্ধুদের' স্বার্থেও বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে।