চলন্ত ট্রেনের মধ্যে আলাপ। সেখানেই প্রেম। একে অপরের হাত ধরে সারাজীবন একসঙ্গে পথ চলার প্রতিশ্রুতি। এমনই অবস্থা, ট্রেন থেকে নামতেই আর তর সয়নি যুগলের। অপরিচিত মেয়েকে সরাসরি ঘরে তোলেন ওই যুবক। কিন্তু বিধি বাম। চার দিনের মাথায় সমস্ত মোহভঙ্গ হয়ে গেল যুবকের। তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে ঘরের মধ্যে থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সোনার গয়না নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠল ওই যুবতির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের কোয়ার্শি থানা এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবতিকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রতারিত ওই যুবক। অভিযোগ উঠেছে, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে অভিযোগ না নিয়েই তাঁকে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।বৃহস্পতিবার জেলার বরিষ্ঠ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিত ওই যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়ার্শি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। দেড় মাস আগে অফিসের কোনও কাজে ট্রেনে চেপে দিল্লির দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর পাশের আসনে বসা এক যুবতির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দু’জনের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই সম্পর্ক প্রেমে পরিণত হয়। দু’জন দু’জনের সঙ্গে সারাজীবন পথে চলার প্রতিজ্ঞাবদ্ধও হন। এরপর ওই যুবক তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বাড়ি ফিরে আসেন। সেখানেই দু’জনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
যুবকের অভিযোগ, ঘটনার চারদিনের মাথায় একদিন সকালে তিনি বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। তারপর বাড়ি ফিরে দেখেন, ওই যুবতী উধাও। শুধু তাই নয়, তিনি দেখেন ঘরে আলমারিতে রাখা দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়নাও উধাও হয়ে গিয়েছে। তার বুঝতে আর বাকী থাকেনি যে, ওই যুবতী তাঁকে ঠকিয়ে তাঁর সমস্ত গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এর পরেই ওই যুবক ওয়ার্শি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই ওই যুবক জেলার এসএসপি কলানিধি নাথানির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার তাঁকে সমস্ত সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন।