অত্যন্ত গুরুতর অবস্থা, তবে জীবিত আছেন মেয়ে শনি লাউক। এমনই দাবি করলেন মা রিকার্ডা। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রিকার্ডা দাবি করেছেন যে গাজা ভূখণ্ডে বসবাসকারী এক পারিবারিক বন্ধুর থেকে জানতে পেরেছেন যে হামাসের একটি হাসপাতালে ভরতি আছেন জার্মান-ইজরায়েলি শনি। যে ২২ বছরের মৃত মহিলাকে হামাস জঙ্গিরা প্রায় নগ্ন অবস্থায় পিক-আপ ট্রাকে করে ঘুরিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োও (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে জার্মানির বিদেশ মন্ত্রক, ইজরায়েল বা প্যালেস্তাইনের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কী বলেছেন রিকার্ডা? একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) রিকার্ডাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা এবার জানতে পেরেছি যে শনি বেঁচে আছে। তবে ওর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে এবং ওর অবস্থা অত্যন্ত জটিল। প্রতিটি মিনিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমর জানতে চাইছি….না আমরা দাবি করছি যে দ্রুত পদক্ষেপ করুক জার্মান সরকার।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, শনি জীবিত আছেন বলে যিনি জানিয়েছেন, তাঁকে হাসপাতালে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে নিজের চোখে শনিকে দেখতে পাননি। সেই পরিস্থিতিতে রিকার্ডা বলেছেন, 'এটা কার এলাকার মধ্যে পড়ে, সেটা নিয়ে টানাপোড়েন চাই না। গাজা ভূখণ্ড থেকে শনি বের করে নিয়ে আসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। পুরো জার্মানির কাছে আমার একান্ত আর্জি, শনিকে সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফিরিয়ে আনা হোক।'
গত শনিবার ইজরায়েলে হামাসের আক্রমণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল যে পিক-আপ ট্রাকে উলটো করে এক মহিলাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। যিনি মৃত বলে দাবি করা হয়েছিল। ওই মহিলার দেহে কার্যত কোনও পোশাক ছিল না। ওই ট্রাকে থাকা বন্দুকধারী কয়েকজন এবং রাস্তায় থাকায় কয়েকজনকে চরম উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। তারইমধ্যে ওই মহিলার চুলে থুতু ফেলতে থাকে কয়েকজন।
ওই ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখে শনির মা দাবি করেছিলেন, ওই মহিলা আদতে তাঁর মেয়ে। যিনি গাজার কাছে ইজরায়েলের একটি মিউজিক ফেস্টিভালে গিয়েছিলেন। যেখানে হামাস জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের পায়ের ট্যাটু এবং চুল দেখে রিকার্ডা শনাক্ত করেছিলেন যে ওই মহিলা আদতে তাঁর মেয়ে শনি।