কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন যে পূর্ব লাদাখে অনেক সংখ্যক চিনা সেনা ঢুকে গিয়েেছে। এবার কার্যত চিনকে সতর্ক করে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন যে চিনের সঙ্গে কূটনৈৈতিক ও সামরিক স্তরে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু কোনও ভাবেই ভারতের মর্যাদাহানি হওয়া নয়া দিল্লি মেনে নেবে না, এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ সিং। অর্থাত্ কোনও ভাবেই ভারত যে নিজের ন্যায্য দাবিগুলি থেকে সরে আসবে না, সেটা জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেক ও গালওয়ান উপত্যকায় চার জায়গায় একেবারে সামনা সামনি ভারত ও চিন। কিছু জায়গায় তারা সীমান্ত পেরিয়ে এদিকে চলে এসেছেন বলেও রিপোর্টে প্রকাশ। ভারতের দাবি, চিনকে আগের জায়গায় ফিরে যেতে হবে। এই নিয়ে প্রায় এক মাস ধরে অচলাবস্থা চলছে। চিন যেরকম সেনা বাড়িয়েছে, প্রত্যুত্তরে ভারতও সীমান্তে জওয়ানদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করতে চাইছে দুই পক্ষ।
তবে রাজনাথের এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, নিজেদের অবস্থান লঘু করার কোনও ভাবনাচিন্তা নেই নয়াদিল্লির। বিজেপি মহারাষ্ট্রের জনসংবাদ মিছিলে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বলেন যে মোদী সরকার এটা নিশ্চিত করবে যে ভারতের মর্যাদাহানি যেন না হয় সীমান্তে। তিনি বলেন যে এই সীমান্ত সমস্যা অনেক দিন ধরে চলছে। কেন্দ্র চায় এর দ্রুত সমাধান হয়।
দুই দেশের মধ্যে থ্রি স্টার জেনারেলদের যে আলোচনা হয়েছে গত শনিবার, সেটা ইতিবাচক ছিল বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনা চলছে এবং এই বিবাদ মেটানোর জন্য কথা চালিয়ে যেতে সহমত দুই দেশ।
দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন যে নেতৃত্ব খুব দক্ষ হাতে আছে ও কোনও ভাবেই ভারতের গর্ব ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে আপোষ করা হবে না।
রাজনাথ সিং বলেন যে রাহুল গান্ধী সহ অনেক বিরোধী দল চাইছে লাদাখে কী হচ্ছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে যা বলার সংসদে গিয়ে বলব। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করব না।
বিভেদ যেন বিবাদে পরিণত না হয়- ভারত ও চিনের সামরিক বৈঠকে এই বিষয়ে দুই পক্ষ সহমত হয়েছে বলে সোমবার জানাল বেজিং। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের কূটনৈতিক আলোচনাতেও এই কথাটি বলা হয়েছিল। শনিবার হয় দুই পক্ষের মধ্যে থ্রি-স্টার জেনারেলদের বৈঠক। তারপরে এদিন প্রথম সরকারিভাবে চিনের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হল বৈঠক সম্বন্ধে।
এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে যে দুই দেশ সহমত হয়েছে শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটাকে মেনে চলার যে বিভেদ যেন বিবাদে পরিণত না হয়।