শনিবার বিকেলে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় একটি রাসায়নিক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জন শ্রমিক মারা যায় এবং ১৩ জন আহত হয়। দিল্লি থেকে মাত্র ৮০ কিমি দূরে হাপুর জেলায় অবস্থিত ধৌলানা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বিকেল ৩টের দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে এবং বিস্ফোরণের প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে আশেপাশে অবস্থিত কয়েকটি কারখানার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, কারখানায় আগুন নেভাতে হাপুরের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির দমকল কর্মীদেরও নিয়োগ করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় প্রায় ৩০ জন লোক ছিল।
হাপুরের সহকারী পুলিশ সুপার সর্বেশ মিশ্র বলেন, ‘আটজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান, এবং দু’জন মিরাট হাসপাতালে চিকিৎসার সময় মারা যান। গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালে একজন শ্রমিক মারা গেছেন। পরে রাতে আহত আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ১৩ জনের মতো আহত শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
হাপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেঘা রূপম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদী এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের হাপুরের রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনা হৃদয় বিদারক। যাঁরা এতে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার আহতদের চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা প্রদানে সক্রিয় থাকবে।’