জন্মাষ্টমীতে মথুরায় গিয়ে মদ ও মাংস বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার জন্মাষ্টমীর দিনে তিনি সরকারি আধিকারিকদের নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই ধরনের অন্য যে কোনও ব্যবসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কৃষ্ণোৎসব ২০২১ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে লাখনউয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ যেরকম আগে মথুরা গবাদি পশুর দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল, যাঁরা মদ ও মাংস ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন, তাঁরা মথুরার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে দুধ বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, শ্রীকৃষ্ণের কাছে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেন যোগী আদিত্যনাথ।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘ব্রজভূমির উন্নয়নের সব ধরনের চেষ্টা করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের কোনও অভাব হবে না । আমরা এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির এক আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ দেখছি।
তবে এদিন মোদীর প্রশংসা করতেও ভোলেননি যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি জালিয়ানওয়ালা বাগ সংস্কার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে জালিয়ানওয়ালা বাগের অভ্যন্তরীণপরিকাঠামো। অবশ্য ইতিহাসবিদরা এর তীব্র বিরোধীতা করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, জালিয়ানওয়ালা বাগের অত্যাধুনিক সংস্কার পুরনো ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দিয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কের দানা বেঁধেছে।
তবে এদিন নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ যোগী আদিত্যনাথ। তার মতে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করছেন। অতীতে যে বিশ্বাসের স্থানগুলিকে অবহেলার চোখে দেখা হত, আজ তা পুরনো গৌরব ফিরে পাচ্ছে। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদীয় মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরী ও শ্রীকান্ত শর্মাও।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৭ সালেও বৃন্দাবন ও বর্ষণা অঞ্চলকে তীর্থস্থান ঘোষণা করে মদ ও মাংস নিষিদ্ধ করেছিলেন আদিত্যনাথ। তৎকালীন সময়ে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মথুরা-বৃন্দাবন এলাকা হল শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর বড় ভাই বলরামের জন্মস্থান। গোটা বিশ্বখ্যাত এই জায়গা আর বর্ষণা হল রাধার জন্মস্থান। লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী ও পর্যটক এই তীর্থস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। তার গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে পর্যটনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই জায়গাগুলোকে পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।