জোমাটোর অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন এক আইনি পড়ুয়া। তবে সেই খাবার তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি। খাবারের দাম ছিল ৩৬২ টাকা। সেই টাকাও রিফান্ড করা হয়নি সেই পড়ুয়াকে। এই আবহে উপভোক্তা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেই আইনি পড়ুয়া। এবং তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার তিনি জরিমানা বাবদ ৮,৩৬২ টাকা পেতে চলেছেন। জোমাটো এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁকে একসঙ্গে মিলে এই জরিমানা শোধ করতে নির্দেশ দিয়েছে উপভোক্তা আদালত।
কোল্লাম জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের প্রেসিডেন্ট ইএম মহম্মদ ইব্রাহিম এবং কমিশনের দুই সদস্য এস সন্ধ্যা রানী ও স্ট্যানলি হেরোল্ড মামলাকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রায় দেন, আবেদনকারী সুদ সমেত খাবারের দাম বাবদ ৩৬২ টাকা ফের পাওয়ার যোগ্য। উপরন্তু অভিযোগকারীর মানসিক যন্ত্রণার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ হাজার টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিতে আদেশ দেয়। উপভোক্তা আদালত জানায়, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এই জরিমানার টাকা অভিযোগকারীকে না দেওয়া হলে এই পরিমাণের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে জোমাটো এবং সেই রেস্তোরাঁকে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি কোর্সের অন্তিমবর্ষের ছাত্র অরুণ জি কৃষ্ণন তিরুবনন্তপুরমে দুটি আলাদা অর্ডার করেছিলেন জোমাটোর মাধ্যমে। সেই দুটি অর্ডারের একটিও তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি। এদিকে খাবারের দাম বাবদ ব্যাঙ্ক থেকে টাকাও কেটে নেওয়া হয় তাঁর। তবে তাঁকে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। যদিও জোমাটো দাবি করেছিল, ঠিকানার গরমিলের কারণেই খাবার ডেলিভার করা যায়নি। তবে উপভোক্তা আদালত অভিযোগকারীর দাবিকেই মান্যতা দিল।