বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 'আরও ৩৫% DA-র ঘোষণা করতে হবে'! বিধানসভা অভিযানের ডাক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের
'আরও ৩৫% DA-র ঘোষণা করতে হবে'! বিধানসভা অভিযানের ডাক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের Updated: 20 Nov 2022, 11:58 AM IST Ayan Das 6th Pay Commission DA Agitation: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও জোরদার আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএয়ের দাবিতে এবার বিধানসভা অভিযানের ডাক দিলেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো ৩৮ শতাংশ ডিএয়ের দাবি জানাবেন। যাঁরা আপাতত তিন শতাংশ হারে ডিএ পান। 1/8 বকেয়া মহার্ঘ ভাতা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আগামী বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২ টোয় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করবেন। তারপর বিধানসভা অভিযান শুরু হবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 2/8 কোন কোন দাবিতে বিধানসভা অভিযান করা হবে? পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে নবান্নকে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের ক্ষেত্রে যে ৩৫ শতাংশ ব্যবধান আছে, তা পূরণ করতে হবে। সেইসঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে শূন্যপদ পূরণ, অস্থায়ী শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের সাপেক্ষে সমকাজে সমবেতন প্রদান ও স্থায়ী কর্মীর মতো সুবিধা প্রদানের মতো দাবিও তোলা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 3/8 পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চের তরফে সেই বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। যে মঞ্চে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, কেএমডিএ এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, ক্যালকাটা স্টেট ট্রান্সপোর্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, ক্যালকাটা ট্রামওয়েস ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নর মতো একাধিক সংগঠন সামিল আছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 4/8 কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এক চাকরিপ্রার্থীকে কামড়ে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়েও যৌথ মঞ্চের তরফে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। যৌথ মঞ্চের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'একেবারে নিজেদের স্বার্থে (বিধানসভা) অভিযান করা হবে। কামড় খেতে পারেন, এই ভয়ে ঘরে বসে থাকবেন না প্লিজ।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 5/8 উল্লেখ্য, আপাতত ডিএ সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে চলছে। সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে। তবে সেই পিটিশনে ১০ টি ত্রুটি আছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সেই সংশোধন হয়নি। ত্রুটি সংশোধনের জন্য রাজ্যের হাতে ৯০ দিন আছে (৩ নভেম্বর রাজ্য পিটিশন দাখিল করেছে, ৫ নভেম্বর ত্রুটির তালিকা দেওয়া হয়েছে)। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 6/8 যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মতে, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে খাতায়কলমে ৯০ দিন থাকলেও নবান্নকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে (সেদিন কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে) সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশনের ভুল শোধরাতে হবে। নয়তো কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলায় চাপে পড়তে পারে রাজ্য সরকার। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 7/8 ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলায় কী বলেছিল হাইকোর্ট? ৯ নভেম্বর হাইকোর্টে ডিএ সংক্রান্ত আদালত অবমাননার মামলা উঠেছিল। সেদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল, হাইকোর্টের রায় কার্যকালের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করা যায় না। সেইসঙ্গে ৩০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তাতে নৈতিক জয় দেখছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্টে এখনও ডিএ মামলা স্থায়ী নম্বর পায়নি। তাই হাইকোর্টে আদালত অবমাননার শুনানির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ) 8/8 কেন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে? গত ২০ মে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। তারইমধ্যে ২০ মে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেইমতো বকেয়া ডিএ প্রদান না করায় রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে তিনটি রাজ্য সরকারি সংগঠন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)