বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > WB Dearness Allowance Protest: কেন বাংলার ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না মমতা? বিস্ফোরক জবাব সাংসদের
WB Dearness Allowance Protest: কেন বাংলার ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না মমতা? বিস্ফোরক জবাব সাংসদের Updated: 09 Mar 2024, 11:48 AM IST Abhijit Chowdhury সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ শতাংশ। এই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আরও ফারাক বেড়েছে কেন্দ্রের কর্মীদের ডিএ-র হারের। এই আবহে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ নিয়ে আরও তীব্র আন্দোলনে নামতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। 1/5 লোকসভা ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের এরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের একগুচ্ছ ভাতাও বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়া হয়। গ্র্যাজুইটির সর্বোচ্চ সীমাও বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রাভেল অ্যালোওয়েন্স, ক্যান্টিন অ্যালোওয়েন্স, ডেপুটেশন অ্যালোওয়েন্স, বাড়ি ভাড়া ভাতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। 2/5 এদিকে এই সবের মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়েছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। মে মাস থেকে আরও ৪ শতাংশ বেড়ে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ হবে ১৪ শতাংশ। তখনও কেন্দ্র ও রাজ্যের কর্মীদের ফারাক থাকবে ৩৬ শতাংশ। এই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ-র হার নির্ধারণ করতে হবে রাজ্যেও। অনশন চলছে। একবছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভও চলছে। তবে রাজ্য সরকার আলোচনায় বসছে না আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। 3/5 এই আবহে সিপিএম নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এক সংবাদমাধ্যমকে ডিএ প্রসঙ্গে বলেন, 'রাজ্য সরকারি কর্মীরা সেই আগের জায়গাতেই রয়ে গিয়েছেন। জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। তার সঙ্গে বেতনের কোনও সমতা নেই। সেই কারণেই এই ডিএ দেওয়া। তবে এখানে সেই ডিএ দেওয়া হচ্ছে না। অত্যন্ত লজ্জাজনক পরিস্থিতি। এই রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুবই করুণ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। দেনা আমাদের চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। 4/5 মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার টাকা না থাকলেও রাজ্য অপচয় করছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। বিকাশবাবু এই বিষয়ে বলেন, 'যে সব দায়িত্ব রয়েছে, আইন মেনে তা পালন করতে হবে। তবে তা পালন না করে অপ্রয়োজনীয় খাতে টাকা খরচ করার এক অদ্ভূত প্রবণতা এই রাজ্য সরকারের আছে। একই দিনে বিভিন্ন দফতরের বিজ্ঞাপন হচ্ছে। এই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাপিয়ে রঙিন বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছে। এটা তো অপচয়।' 5/5 বাম নেতার কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র ভোটের কথা মাথায় রেখে যেভাবে অন্যান্য খাতে টাকা ব্যয় করছেন, তাতে সামাজি কোনও মঙ্গল হচ্ছে না। সরকারি কর্মীরা এই প্রশ্ন তুলবেন। তাই তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করছে না সরকার। উলটে তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। এহেন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার চললে পড়ে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবেই।'