করোনাকালে যে মহার্ঘ ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা ফের চালু করার দাবিতে সরব হল উত্তর ভারতের এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। রাজ্য কর্মচারী জয়েন্ট কাউন্সিল জেলা ইউনিটের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয় সম্প্রতি। দাবি না মানা হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।
1/5 উত্তরপ্রদেশের কর্মচারী জয়েন্ট কাউন্সিল জেলা ইউনিটের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে যদি করোনাকালের বকেয়া ডিএ না মেটানো হয় এবং এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামীতে পর্যায়ক্রমে আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে সরকারি কর্মীদের তরফে। মে দিবস উপলক্ষে এক বৈঠক করে সরকারকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সরকারি কর্মীরা।
2/5 উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফেও করোনাকালের ডিএ বৃদ্ধি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে সেই মহার্ঘ ভাতা আর সরকারি কর্মীদের দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় কর্মীরাও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরব হয়েছেন। তবে সংসদে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
3/5 এদিকে গত মার্চ মাসেই সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য ডিআর বাড়ানো হয়েছিল। এক লাফে চার শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়েছিল গতবার। নয়া ডিএ-র হার কার্যকর হয়েছে জানুয়ারি থেকে। এর ফলে বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। তবে আগামী দিনে এই ভাতা আরও বাড়তে পারে। তবে কতটা বাড়বে ডিএ?
4/5 সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী জুলাই মাস থেকে ফের এক দফায় ডিএ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। সেই ডিএ নির্ভর করবে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্সের ওপর। শ্রম মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স কমেছিল মাত্র ০.১ পয়েন্ট। এর আগে জানুয়ারিতে অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্সে ছিল ১৩২.৮ পয়েন্ট। তা ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে ১৩২.৭। আপাতত ফেব্রুয়ারির অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স অনুযায়ী, জুলাইতে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি পেতে পারে সরকারি কর্মীদের।
5/5 বর্তমানে সরকারি কর্মীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। যদি ফেব্রুয়ারির হারেই অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স স্থিতিশীল থাকে আগামী মাসগুলিতে, তবে জুলাই মাসে ডিএ বেড়ে ৪৫ শতাংশ হতে পারে। তবে মার্চ, এপ্রিল, মে এবং জুন মাসের অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্স যদি তড়তড়িয়ে বাড়ে, তাহলে হিসেব বদলে যাবে।