বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > সুপ্রিম বকুনিতে কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিল SBI, সেই তালিকা প্রকাশ হবে কবে?
সুপ্রিম বকুনিতে কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিল SBI, সেই তালিকা প্রকাশ হবে কবে? Updated: 14 Mar 2024, 10:48 AM IST Abhijit Chowdhury সুপ্রিম কোর্টের 'বকুনি' খেয়ে কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য দিয়েছে এসবিআই। এখন সেই তথ্য প্রকাশ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপরে। তবে কবে সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে? বুধবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে। এই আবহে জনসমক্ষে কবে আসবে সেই সব তথ্য? 1/6 গতকাল জম্মুতে নির্বাচনী প্রস্তুতির বৈঠকে ছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার। সেই সময়ই তাঁকে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার জবাবে রাজীব কুমার জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ১২ মার্চেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। অবশ্য রাজীব কুমার জানান, তিনি নিজে জমা পড়া তথ্যের বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না। 2/6 এরপর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত এই তথ্য কবে জনসমক্ষে আনা হতে পারে। এর জবাবে রাজীব কুমার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি দিল্লি গিয়ে আগে নিজে নিজে এই সব তথ্য দেখব। ঠিক সময় মতো নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।' তবে সেই 'ঠিক সময়' কবে আসবে, সেই বিষয়ে কোও ইঙ্গিত দেননি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। 3/6 এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এসবিআই-এর তরফ থেকে যে হলফনামা জমা পড়েছে, সেখানে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ভাঙিয়ে চাঁদা তুলেছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর বাকি বন্ডগুলির টাকা জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। 4/6 এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক। এই আবহে ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য জমা করতে নির্দেশ করা হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে। তবে এই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল দেশে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। তবে শেষ পর্যন্ত এসবিআই-এর সেই আবেদন খারিজ করে ১২ মার্চের মধ্যে যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। 5/6 প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। এই আবহে আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নির্বাচনী বন্ডের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। তার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে বলা হয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের বিষয়ে জানার অধিকার নেই আম নাগরিকের। 6/6 উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছিল দেশে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই। তবে মামলা শেষে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐতিহাসিক রায়তে জানিয়ে দেয়, নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করে রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে টাকা তুলছে, তা আদতে অসাংবিধানিক।