ভারত কেন হাম্বানটোটায় খেলতে রাজি হল না, যেখানে কলম্বোয় বৃষ্টির আশঙ্কা আছে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেট কর্তা।
1/6 এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে অর্থাৎ সুপার ফোরের ম্যাচেও রয়েছে বৃষ্টির প্রবল পূর্বাভাস। তবে এখন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল জানিয়েছে যে তারা একটা রিজার্ভ ডে-র ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু এরমধ্যেই কোথায় খেলা পড়েছে এবং কোথায় খেলা হওয়ার কথা ছিল, সেই নিয়ে আকচাআকচি লেগেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে।
2/6 প্রাক্তন পিসিবি প্রধান নাজম শেঠি এই পুরো প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন যখন শিডিউল ঠিক হয়েছিল। তিনি এক্স সোশ্যাল মাধ্যমে বলেন যে পিসিবিকে প্রথমে জানানো হল যে বৃষ্টির জন্য ম্যাচগুলি কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার খবর এল যে না ম্যাচগুলি শ্রীলঙ্কার রাজধানীতেই হবে। ভারত কী ভয় পাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে, প্রশ্ন করেন ক্রিকেট কর্তা। বৃষ্টির পূর্বাভাস দেখেও কেন ওখানে খেলা হবে সেই নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
3/6 কিন্তু এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন হরভজন সিং। ভাজ্জি চিরকালই একটু মাথা গরম করে ফেলেন। বিশেষত ভারত-পাক নিয়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ তিনি। একেবারে স্ট্রেট ব্যাটে নাজম শেঠির বাউন্সারকে মাঠের বাইরে ফেলে দিয়েছেন ভাজ্জি। তাঁর কথায়, ‘জানি না নাজম শেঠি এখন কী ফুঁকছে। বুঝতে পারছি না কীভাবে বলছে যে পাকিস্তান ফেভারিট বা ভারত খেলতে চায় না। দয়া করে কেউ ওনাকে পুরো রেকর্ডটা পাঠান।’ ভারত বনাম পাকিস্তানের লড়াইয়ে ভারতই বেশিবার জিতেছে বলে তিনি দাবি করেন। নাজম শেঠির মতো মানুষের থেকে এরকম কথা আশা করা যায় না বলেই প্রাক্তন স্পিনারের দাবি।
4/6 এরপর ভাজ্জি বলেন, ‘নাজাম বলছে তো যে ভারত ভয় পেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে চায় না। ভারত কখনো ভয় পায় না খেলতে। জানি না কেন এসব বলছে। ওরা এসিসি-র সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করল না কেন খেলা কোথায় আয়োজিত হবে।’ শেষে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ভাজ্জি বলেন,' বস, যেখানে চাও খেলতে চলে আসো। তোমাদের হারিয়ে ছাড়ব।'
5/6 প্রসঙ্গত, শুধু ফাইনাল ও ভারত-পাক ম্যাচেই রিজার্ভ ডে রেখেছে এসিসি। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে নেটমাধ্যম। এটা সরাসরি অন্যদলগুলির সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে অনেকের দাবি। এই নিয়ে এসিসি-র তরফ থেকে কোনও সাফাই এখনও দেওয়া হয়নি।
6/6 আগামী রবিবার কলম্বোতে দুই দলের মহারণ। তার আগে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচ শনিবার। বৃহস্পতিবার সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও শুক্রবার কিছুটা আকাশ সাফ ছিল। প্র্যাকটিস করেছেন প্লেয়াররা। ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা থাকবে যে যাবতীয় কথার লড়াই অন্ত হয়ে মাঠে হবে ব্যাট ও বলের টক্কর।