পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে কয়েকশো কিমি দূর দিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে ধেয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এমনটাই দেখ গেল হাওয়া অফিসের ওয়েবসাইটের ঘূর্ণিঝড়ের 'প্রজোকশনে'। হাওয়া অফিসের মডেল অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের সুন্দরবনের বেশ কাছ দিয়েই যাবে এই ঘূর্ণিঝড়।
1/7আজই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে বঙ্গোপসাগরে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মোখা। সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে না। বরং এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরেই রাজ্যে তাপপ্রবাহ। তবে বাংলার গা ঘেঁছে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে ছুটবে মোখা। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে? (via REUTERS)
2/7আজ সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড় মোখার। এর জেরে আগামী দু'দিন অর্থাৎ বৃহস্পতি ও শুক্রবার আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। আজ ও আগামিকাল আন্দামানে ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৮০ থেকে ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। এই আবহে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। (via REUTERS)
3/7আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখা আছড়ে পড়বে। এদিকে বাংলাদেশের দিকে অভিমুখ থাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সেভাবে পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তবে সুন্দরবন ও বাংলার উপকূলের বেশ কাছে দিয়েই এই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে যাবে নিজের গন্তব্যের দিকে। সমুদ্রের ওপরই অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রভাব বিস্তার করে এগিয়ে যাবে মোখা। এর জেরে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। (via REUTERS)
4/7আগামী কয়েকদিনে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ১৬০ কিমি পর্যন্ত ছুঁতে চলেছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আজই বঙ্গোপসাগরের ওপর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় ১০০ কিমির বেশি জোরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এরপর আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছুঁতে চলেছে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। (via REUTERS)
5/7হাওয়া অফিসের মডেল অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সুনদরবন উপকূল থেকে মোটামুটি ৩৮০ কিমি দূর দিয়ে যাবে এই ঘূর্ণিঝড় মোখা। তার মানে কলকাতা থেকে প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ কিমি দূরে থাকবে এই ঘূর্ণিঝড়। এর জেরে হালকা ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। উপকূলবর্তী পূর্ব মেদিনীপুরেও এই ঝড়ের জেরে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর থেকে বেশি কোনও প্রভাব হয়ত এই বাংলায় পড়বে না মোখার জেরে। (via REUTERS)
6/7এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে এগিয়ে যাবে মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে। এরপর অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলের সমান্তরালে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে। মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগর হয়ে সেটি উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে। এরপর ১৪ মে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং মায়ানমার দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। (via REUTERS)
7/7১১ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১২ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ঊপকূলের আরও কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও এর হালকা প্রভাব পড়তে পারে সেদিন। এদিকে ১১ এবং ১২ তারিখ মায়ানমারের পশ্চিম উপকূলে এই সিস্টেমের সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে। (via REUTERS)