বাংলা নিউজ >
ছবিঘর >
বাংলার মুখ > Dearness Allowance Vote Bank Politics: ডিএ নিয়ে কেন এই উদাসীনতা? ‘অধিকার বনাম অনুদান’ বিতর্কের মাঝে কঠিন প্রশ্ন মমতাকে
Dearness Allowance Vote Bank Politics: ডিএ নিয়ে কেন এই উদাসীনতা? ‘অধিকার বনাম অনুদান’ বিতর্কের মাঝে কঠিন প্রশ্ন মমতাকে Updated: 11 Mar 2023, 08:27 AM IST Abhijit Chowdhury এক পক্ষের বক্তব্য, 'ডিএ অধিকার'। এক পক্ষের দাবি, 'ডিএ অনুদান'। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে গতকালই রাস্তায় নেমেছিলেন সরকারি কর্মীরা। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন সরকারকে। পিছিয়ে নেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে ডিএ ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। 1/5 প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শুক্রবার বলেন, কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে আন্দোলনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। পশ্চিমবঙ্গে বিনা লড়াইয়ে মানুষ কোনেও কিছুই পায় না। সরকারের কাছ থেকে ডিএ আদায় করতে তাই পথে নেমেছেন সরকারির কর্মীরা। পাশাপাশি অধীর চৌধুরী মমতার সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন তুললেন, 'সরকারি কর্মচারীরা ভোটব্যাঙ্ক নয় বলেই কি উদাসীনতা?' 2/5 ডিএ আন্দোলন প্রসঙ্গে অধীর বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না যে, সরকারি কর্মচারীরা লড়াই না করলে তাঁদের অধিকার পাবেন। সরকারি কর্মচারীদের যা অধিকার সেটা পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে। সরকারি কর্মচারীদেরকে এটা দান খয়রাতি করছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' আন্দোলকারীদের উদ্দেশে অধীরের বার্তা, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ধমক দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ধমকের কাছে যেন মাথা নীচু না করে সরকারি কর্মীরা।' 3/5 কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন সরকারি কর্মীরা ভোটব্যাঙ্ক নন। তারা ভোটারদের তুলনায় নগণ্য সংখ্যা মাত্র। তাই সরকারি কর্মচারীদের ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না মুখ্যমন্ত্রী। আসলে, পশ্চিমবঙ্গে যা কিছু নির্ধারিত হয় ভোটের কথা মাথায় রেখে।' অধীরের বার্তা, শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অন্য সরাকির কর্মীদের ন্যায্য দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবেন না। অধীরের অভিযোগ, সরকারি কর্মচারীদের ভোটের ভারসাম্য হেরফের করার ক্ষমতা নেই, তাই তাঁরা ব্রাত্য। 4/5 এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গেও সরকারকে আক্রমণ শানান অধীর চৌধুরী। বলেন, 'উৎপাদের ধন চিৎপাতে যায়। বাংলায় দুর্নীতির টাকা ঢালা হয়েছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এই টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে আজকের টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীদের সিনেমায়। এইসব হারামের টাকা, লুটের টাকা দিয়ে সিনেমা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, লুঠের কিনারা কিন্তু হচ্ছে না। লুঠে পরিকল্পিত মাথা রয়েছে। সরকারি মদত ছাড়া এই লুঠ হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবার এই ভাগ খেয়েছে। কেষ্ট যদি ঢোল ফাটায়, তাহলে দিদি এবং ভাইপোর জেল যাত্রা কেউ আটকাতে পারবে না।' 5/5 অপরদিকে শুক্রবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে এই ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরে উপস্থিতিতে। শুক্রবার নবান্ন-সহ রাজ্যের অন্যান্য সরকারি দফতরে হাজিরার হার ছিল নব্বই শতাংশের বেশি। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।