বাংলা নিউজ >
ছবিঘর >
বাংলার মুখ > DA Protestors Challenge to Govt: 'এটাই চাইছিলাম', শোকজ নোটিশ হাতে পেয়ে নয়া 'ছক' ডিএ আন্দোলনকারীদের
DA Protestors Challenge to Govt: 'এটাই চাইছিলাম', শোকজ নোটিশ হাতে পেয়ে নয়া 'ছক' ডিএ আন্দোলনকারীদের Updated: 12 Mar 2023, 09:02 AM IST Abhijit Chowdhury শুক্রবারের ধর্মঘটের পরদিন, শনিবারই একাধিক সরকারি কর্মচারীদের হাতে পৌঁছে গিয়েছে শোকজ নোটিশ। ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সকল কর্মীদের হাতেই সোমবারের মধ্যে শোকজ নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে। এদিকে হাতে শোকজ নোটিশ পেয়েও এতটুকু বিচলিচত নন সরকারি কর্মীরা। বরং তাঁরা বলছেন, 'এটাই তো চাইছিলাম'। 1/5 সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা চাইছিলেন যাতে সরকার তাঁদের শোকজ নোটিশ পাঠাক। তাঁদের কথায়, সরকারের নোটিশের প্রেক্ষিতে এবার তাঁরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে। উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। 2/5 এর আগে ৯ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ১০ মার্চ কোনও কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকী কেউ হাফ ডে ছুটিও নিতে পারবেন না। অফিস কামাই করলে তা ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ হিসেবে গণ্য করা হবে। যদিও সরকার এভাবে কর্মচারীদের কর্মজীবন থেকে একদিন কেড়ে নিতে পারে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। 3/5 সরকারের তরফে জানানো হয়ছে, পশ্চিমবঙ্গের যে সরকারি কর্মচারী শুক্রবার অফিসে না গেলে একদিনের বেতন কাটা যাবে। একদিনের কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলেও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য। তবে এবার পালটা আইনি পথে হাঁটার জন্য কোমর কষছেন সরকারি কর্মচারীরা। 4/5 এদিকে রাজ্য সরকারের দাবি, ১০ মার্চ নব্বই শতাংশের বেশি হাজিরা ছিল সরকারি অফিসগুলিতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে উপস্থিতির হার ছিল ১০০ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য দফতরে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্বরাষ্ট্র দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ, অর্থ দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯০ শতাংশ, পর্যটন দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৬.৭৬ শতাংশ, কৃষি দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৪.২ শতাংশ, পঞ্চায়েত দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৯৩.৪ শতাংশ, স্বাস্থ্য দফতরে কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল ৮২.২১ শতাংশ। 5/5 এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, যদি সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশের ওপরে থাকে, তবে, শহিদ মিনারে এতো সরকারি কর্মীর জমায়েত কোথা থেকে হল? আন্দোলকারীদের দাবি, সরকারের প্রকাশিত অ্যাটেনডেন্স শিট ভুয়ো। ধর্মঘট সফল হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মীরা স্বতর্স্ফুত ভাবে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেছেন।