বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Chief Justice of HC on Shahjahan: আত্মসমর্পণ করতে বলা হল শাহজাহানকে, সন্দেশখালি নিয়ে কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
Chief Justice of HC on Shahjahan: আত্মসমর্পণ করতে বলা হল শাহজাহানকে, সন্দেশখালি নিয়ে কী বললেন প্রধান বিচারপতি? Updated: 20 Feb 2024, 01:13 PM IST Abhijit Chowdhury সন্দেশখালি নিয়ে আরও চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে। সেখানেই রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। পাশাপাশি শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন তিনি। 1/4 আজ সন্দেখালি মামলার শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, 'বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সন্দেশখালির অনেক মহিলা গুরুতর সব অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও কিছু জমি জবরদখলেরও অভিযোগ আছে। এই ব্যক্তিকে (শেখ শাহজাহান) পালিয়ে থাকতে দেওয়া যায় না। এটাকে সমর্থন করতে পারে না সরকার। এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলার প্রেক্ষিতে শাহজাহানকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলছি। তিনি আইন অমান্য করতে পারেন না।' 2/4 বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'সন্দেশখালির দু’টি ঘটনায় আমি হতভম্ব। সেখানে আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। আবার কার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মানুষের কৃষি জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওই ব্যক্তি পুরো ঘটনার নেপথ্যে আছেন। আর তিনি এখনও পলাতক!' 3/4 এদিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'শাহজাহানের গ্রেফতারির সময় রাজ্য পুলিশ, সিবিআই, ইডি সবাই যেন উপস্থিত থাকে।' এরপরে রাজ্যের আইনজীবী দাবি জানান, যাতে পুলিশকেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'একজন ব্যক্তি যদি গোটা এলাকার জনগণকে বন্দি বানিয়ে রেখে দেন, তাহলে তাঁকে সমর্থন করা উচিত না শাসকের।' 4/4 শাহজাহানকে নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে। না হলে শাহজাহান পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন। তিনি নাকি জনপ্রতিনিধি? মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন। মামলা দায়ের হয়েছে অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।'